চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে পুকুরে ডুবে নুসাইবা জান্নাত (২) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। রোববার (৯ নভেম্বর) সকালে উপজেলার ভূজপুর ইউনিয়নের পশ্চিম কৈয়া এলাকায় এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত নুসাইবা ওই এলাকার মাওলানা মুহাম্মাদ একরামের মেয়ে।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মোহাম্মদ লোকমান জানান, সকালে নুসাইবা ঘরের আঙিনায় খেলছিল। পরিবারের সদস্যরা ঘরের কাজে ব্যস্ত ছিলেন। একপর্যায়ে শিশুটিকে আর দেখা না পেয়ে সবাই খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। কিছুক্ষণ পর পাশের পুকুরে তার দেহ ভাসতে দেখা যায়। দ্রুত উদ্ধার করে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নেওয়া হলে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, পুকুরটি বাড়ির একেবারে পেছনে এবং এতে কোনো সুরক্ষা ব্যবস্থা ছিল না। শিশুটি কীভাবে সেখানে পড়ে যায়, তা কেউ দেখেনি। ধারণা করা হচ্ছে, খেলার সময় অসতর্কতাবশত পুকুরের ধারে গিয়ে পানিতে পড়ে যায় সে।
ভূজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জানান, “এমন দুর্ঘটনা প্রতিরোধে গ্রামীণ বাড়িগুলোর আশপাশে থাকা খোলা জলাশয়গুলোতে সুরক্ষা বেড়া বা ঘেরা দেওয়ার ব্যাপারে সবাইকে সচেতন হতে হবে। অনেক সময় ছোট শিশুরা খেলতে গিয়ে এই ধরনের দুর্ঘটনার শিকার হয়।”
বাংলাদেশ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশে প্রতি বছর প্রায় ১০ হাজার শিশু পানিতে ডুবে মারা যায়। এর মধ্যে বেশিরভাগের বয়স পাঁচ বছরের নিচে। অনেক ক্ষেত্রেই এসব দুর্ঘটনা প্রতিরোধযোগ্য, যদি বাড়ির আশপাশে থাকা জলাশয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা যায় এবং অভিভাবকদের সতর্কতা বাড়ানো হয়। নুসাইবার মৃত্যুর ঘটনাটি আবারও স্মরণ করিয়ে দিল, সামান্য অসতর্কতাও একটি পরিবারের জন্য আজীবনের শোক বয়ে আনতে পারে।
Leave a comment