এক যুগল, যাদের এই প্রতিবেদনে ‘বি’ (নারী, ২৮ বছর) এবং ‘এ’ (পুরুষ) হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেদের “বাংলাদেশের এক নম্বর মডেল” হিসেবে পরিচয় দেন। বাস্তবে তারা আন্তর্জাতিক পর্ন ইন্ডাস্ট্রিতে ভিডিও প্রকাশ করছেন। বি-এর ভিডিওতে মুখ উন্মুক্ত থাকে, এবং এ-এর সহযোগিতায় একাধিক আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে তাদের ভিডিও প্রচারিত হয়।
২০২৪ সালের মে থেকে বি মোট ১১২টি ভিডিও প্রকাশ করেছেন, যা ২৬৭ মিলিয়নেরও বেশি ভিউ পেয়েছে।তাদের ভিডিও টেলিগ্রাম চ্যানেল ও অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ায় নিয়মিত শেয়ার করা হয়।টেলিগ্রাম চ্যানেলে প্রায় ২,০০০ সদস্য রয়েছেন, এবং তারা নতুন ক্রিয়েটরদের যোগ করতে প্রলোভনমূলক অফার ব্যবহার করেন। ভিডিও থেকে প্রাপ্ত আয় প্রচুর, যার মধ্যে একটি ভিডিও থেকে ১,০০,০০০ টাকারও বেশি আয় দেখানো হয়েছে। নতুন সদস্য বা ক্রিয়েটর যোগ করালে রেফারেল বোনাসের মাধ্যমে আয় বাড়ানো যায়।
উভয়েরই দরিদ্র পরিবার থেকে আগমন, তবে বর্তমানে বিলাসবহুল জীবনযাপন করছে । স্থানীয়রা এ-কে “অন্ধকার জগতের মানুষ” হিসেবে উল্লেখ করেছেন। বাংলাদেশে পর্নোগ্রাফি তৈরি ও প্রচার ফৌজদারি অপরাধ, ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড এবং সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা জরিমানা বিধান আছে। এ পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে সচেতন নয়।তারা সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে আন্তর্জাতিক পর্ন মার্কেটে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
তাদের এই কার্যক্রম থেকে স্থানীয় যুব সমাজ উৎসাহিত হচ্ছে । নতুনদের যুক্ত করা এবং রেফারেল বোনাসের মাধ্যমে কার্যক্রম সম্প্রসারিত হচ্ছে। এই যুগল বাংলাদেশে বসে আন্তর্জাতিক পর্ন ইন্ডাস্ট্রিতে সক্রিয় এবং আইনশৃঙ্খলা এড়িয়ে বড় পরিমাণ অর্থ উপার্জন করছে। তাদের কর্মকাণ্ড সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং নৈতিক ক্ষেত্রে উদ্বেগজনক প্রভাব ফেলছে।
Leave a comment