আজ বাউল সম্রাট ফকির লালন সাঁইয়ের ১৩৫তম তিরোধান দিবস। এ উপলক্ষে কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়ায় লালন আখড়াবাড়িতে বসেছে সাধু-বাউল ও ভক্তদের মিলনমেলা। এ বছর প্রথমবারের মতো রাষ্ট্রীয়ভাবে দিবসটি উদযাপিত হচ্ছে।
সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে ও জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় তিনদিনব্যাপী অনুষ্ঠিত এই স্মরণোৎসবের উদ্বোধন করবেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। এরই মধ্যে দেশজুড়ে আগত হাজারো বাউল, ফকির ও দর্শনার্থীতে মুখর হয়ে উঠেছে সাঁইজির বারামখানা।
১৮৯০ সালের ১৭ অক্টোবর (বাংলা ১২৯৭ সনের ১ কার্তিক) আধ্যাত্মিক সাধক ফকির লালন সাঁই দেহত্যাগ করেন। সেই থেকেই প্রতি বছর গভীর শ্রদ্ধা ও ভক্তিভরে তাঁর অনুসারীরা দিনটি পালন করে আসছেন।
ফকির লালন সাঁই ছিলেন মানবতাবাদী দার্শনিক ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার প্রতীক। তিনি জাতি, ধর্ম, বর্ণ, গোত্রের বিভেদ ভুলে মানবধর্মে বিশ্বাস করতেন। তাঁর গান ও দর্শনের মূলে ছিল মানুষে মানুষে ভালোবাসা, সাম্য ও অহিংসা। আঁখড়াবাড়িতে উপস্থিত বাউল রিদয় শাহ বলেন, “মানবতাবাদী মহান সংস্কারক লালন সাঁই ছিলেন বাঙালি মরমী চেতনার প্রাণপুরুষ। তাঁর বাণী ও সুরের গভীরতা উপলব্ধি করতে হলে ছেঁউড়িয়ায় আসতেই হয়।”
লালন একাডেমির সভাপতি ও কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফিন জানান, “এবার বিশেষভাবে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে লালন তিরোধান দিবসের আয়োজন করা হয়েছে। লালনের অহিংসা ও মানবতার বাণী বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে দিতে পারলেই আমাদের আয়োজন সার্থক হবে।”
Leave a comment