চট্টগ্রাম বন্দরের ঘোষিত বর্ধিত মাশুল এক মাসের জন্য স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তবে দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের জন্য স্থল, নৌ ও সমুদ্রবন্দর ব্যবস্থাপনায় একটি জাতীয় কৌশলপত্র তৈরি করছে সরকার, যা “ন্যাশনাল পোর্ট স্ট্র্যাটেজি” নামে এ বছরের মধ্যেই চূড়ান্ত করার লক্ষ্য রয়েছে। শনিবার চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের মিলনায়তনে আয়োজিত এক কর্মশালায় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন এ তথ্য জানান।
‘ওয়ার্কশপ অন কাস্টমস অ্যান্ড পোর্ট ম্যানেজমেন্ট: প্রবলেমস, প্রসপেক্টস অ্যান্ড ওয়ে ফরোয়ার্ড’ শীর্ষক এ কর্মশালা যৌথভাবে আয়োজন করে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের এসএসজিপি প্রকল্প ও চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। অনুষ্ঠানে নৌ উপদেষ্টা বলেন, আমদানি–রপ্তানির পচনশীল পণ্য সংরক্ষণের জন্য মোংলা বন্দরে আধুনিক কোল্ড চেম্বার স্থাপনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। তিনি মনে করেন, সঠিকভাবে মোংলার সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে পারলে এটি আঞ্চলিক বাণিজ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠতে পারে।
কর্মশালায় অংশ নিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী সমুদ্রবন্দরের দক্ষতা বাড়াতে মন্ত্রণালয়, বিভাগ, সংস্থা ও অংশীজনদের সমন্বয়ে একটি টাস্কফোর্স গঠনের ওপর জোর দেন। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. ইউসুফ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহমান খান, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম মনিরুজ্জামান এবং চট্টগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার নুসরাত সুলতানা।
সরকারি এই ঘোষণায় ব্যবসায়ী মহলে কিছুটা স্বস্তি ফিরলেও দীর্ঘমেয়াদি বন্দরব্যবস্থাপনা সংস্কার ও কার্যকারিতা বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনার গুরুত্ব আবারও সামনে এসেছে।

Leave a comment