যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় টক শো ‘জিমি কিমেল লাইভ!’ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে মার্কিন নেটওয়ার্ক এবিসি। শোর হোস্ট জিমি কিমেল সম্প্রতি কনজারভেটিভ নেতা ও ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহযোগী চার্লি কার্ক হত্যাকাণ্ড নিয়ে রাজনৈতিক মন্তব্য করার পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ভ্যারাইটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কিমেলের বক্তব্যকে কেন্দ্র করে ব্যাপক বিতর্ক তৈরি হয়, যার প্রভাব পড়ে অনুষ্ঠানের ভবিষ্যৎ সম্প্রচারে।
চার্লি কার্ক গত সপ্তাহে ইউটাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে গুলিতে নিহত হন। ২২ বছর বয়সী টাইলার রবার্টসনকে হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে। কার্ক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্র হওয়ায় এই হত্যাকাণ্ড ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে রাজনৈতিক তোলপাড় চলছে। কিমেল তাঁর বক্তব্যে দাবি করেন, ‘মেক আমেরিকা গ্রেট অ্যাগেইন’ সমর্থকেরা হত্যাকাণ্ড থেকে নিজেদের বিচ্ছিন্ন প্রমাণ করতে চাইলেও ঘটনাটিকে রাজনৈতিক সুবিধা নেওয়ার হাতিয়ার বানাচ্ছেন।
এই মন্তব্যের পর ট্রাম্প নিজে শো বন্ধের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘এটি আমেরিকার জন্য দারুণ খবর।’ ডেমোক্র্যাটরা অবশ্য এটিকে গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণের অংশ হিসেবে দেখছেন। তাঁদের অভিযোগ, এটি সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতার জন্য বড় হুমকি।
এর আগে গত জুলাইয়ে সিবিএস ‘দ্য লেট শো উইথ স্টিফেন কোলবার্ট’ বাতিল করে, যখন কোলবার্ট ট্রাম্পের সঙ্গে প্যারামাউন্টের চুক্তি নিষ্পত্তি নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন। সমালোচকেরা বলছেন, ধারাবাহিকভাবে লেট নাইট শো বন্ধ হওয়া যুক্তরাষ্ট্রে সংবাদমাধ্যম ও বিনোদনজগতের স্বাধীনতার ওপর নতুন চাপ তৈরি করছে।
কিমেল বা তাঁর প্রতিনিধির পক্ষ থেকে সরাসরি কোনো প্রতিক্রিয়া এখনো জানানো হয়নি। তবে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক অঙ্গনে এ সিদ্ধান্ত নতুন করে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও প্রেসিডেন্টের ক্ষমতার সীমা নিয়ে বিতর্ক উসকে দিয়েছে।
 
                                                                         
                                                                        
 
			             
			             
 
			         
 
			         
 
			         
 
			         
				             
				             
				            
Leave a comment