নারীর সাজগোজে লিপস্টিক শুধু রঙের ছোঁয়াই নয়, আত্মবিশ্বাস বাড়াতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তবে খাবার খাওয়া, পানীয় পান কিংবা ঘাম মোছার মতো স্বাভাবিক কাজের পর ঠোঁটের রঙ মুছে গিয়ে ফ্যাকাসে লাগা একটি সাধারণ সমস্যা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিছু সহজ কৌশল মেনে চললে লিপস্টিক থাকবে দীর্ঘক্ষণ টেকসই, আর হাসিও হবে নিখুঁত।
প্রথমেই ঠোঁট প্রস্তুত করা জরুরি। শুষ্ক ঠোঁটে রঙ বেশিক্ষণ টেকে না। তাই লিপ স্ক্রাব বা হালকা ব্রাশ দিয়ে এক্সফোলিয়েট করে ঠোঁট মসৃণ করে নিতে হবে। এরপর লিপ বাম ব্যবহার করে আর্দ্রতা ফিরিয়ে আনতে হবে এবং অতিরিক্ত অংশ টিস্যু দিয়ে মুছে ফেলতে হবে।
লিপস্টিক লাগানোর আগে পাতলা করে কনসিলার বা লিপ প্রাইমার ব্যবহার করলে রঙ সমানভাবে ফুটে ওঠে এবং দীর্ঘস্থায়ী হয়। ঠোঁটের আউটলাইন টানতে লিপ লাইনারের ব্যবহার যেমন শেপ ঠিক রাখে, তেমনি ভেতরে হালকা ভরাট করলে বেস আরও শক্ত হয়।
বিশেষজ্ঞরা লেয়ারিং পদ্ধতির কথাও বলেন। প্রথম কোট লিপস্টিক দেওয়ার পর টিস্যু দিয়ে হালকা চাপ দিয়ে বাড়তি অংশ তুলে ফেললে দ্বিতীয় কোট অনেক বেশি সময় স্থায়ী হয়। এর সঙ্গে টিস্যু চাপা দিয়ে ওপর থেকে সামান্য ট্রান্সলুসেন্ট পাউডার লাগালে লিপস্টিক আরও ভালোভাবে সেট হয়।
খাবারের সময় বাড়তি সতর্কতাও জরুরি। তেলতেলে খাবার লিপস্টিক দ্রুত মুছে ফেলে, তাই খাওয়ার সময় সচেতন থাকা দরকার। পানীয় পান করার সময় স্ট্র ব্যবহার করলে ঠোঁটে রঙের স্থায়িত্ব বাড়ে।
তবে লিপস্টিক কতক্ষণ থাকবে, তা শুধু প্রসাধনীর গুণমানের ওপর নয়, ব্যবহারকারীর কৌশলের ওপরও নির্ভর করে। তাই প্রতিদিনের সাজে এসব পদ্ধতি মেনে চললে ঠোঁটে রঙ টিকবে আরও দীর্ঘ সময়।
Leave a comment