রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে ইমাম নুরুল হক ওরফে নুরু পাগলার মাজারে বিক্ষুব্ধ জনতার হামলার ঘটনায় পুলিশ ১৮ জনকে গ্রেফতার করেছে। এ ঘটনায় পুলিশের ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুর, মাজার ভাঙচুর ও মারামারিতে আহত ও লুটপাটের অভিযোগ রয়েছে।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকালে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে জানানো হয়, গ্রেফতারদের মধ্যে স্থানীয় মসজিদের ইমাম লতিফ হুজুরও রয়েছেন। তিনি ঘটনার পর পলাতক ছিলেন এবং আজ ভোরে মানিকগঞ্জের চর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) মো. শরীফ আল রাজীব জানান, পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় অজ্ঞাত ৩৫০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ অভিযান চালিয়ে রোববার রাতে চারজন, সোমবার তিনজন এবং এর আগে সাতজনকে গ্রেফতার করেছে। এতে করে মোট গ্রেফতারকৃত আসামির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮ জনে।
গ্রেফতার আসামিদের মধ্যে ছয়জনকে রোববার এবং পাঁচজনকে সোমবার আদালতে তোলা হলে, তাদের জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া ১১ জনের মধ্যে কাজী অপু ও বিল্লু ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। বাকি তিনজন আসামিকে মঙ্গলবার আদালতে তোলা হবে।
গত ৫ সেপ্টেম্বর জুমার নামাজের পর রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডে নুরুল পাগলার দরবারে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর চালায় বিক্ষুব্ধ জনতা। এই ঘটনায় নুরুল পাগলার ভক্তদের সঙ্গে সংঘর্ষে একজন নিহত এবং দুই পক্ষের শতাধিক মানুষ আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গেলে পুলিশের ওপর হামলা চালানো হয় এবং গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এতে ১০–১২ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
Leave a comment