পাকিস্তান জামায়াতে ইসলামী, আসন্ন ২১, ২২ ও ২৩ নভেম্বর লাহোরের ঐতিহাসিক মিনার-ই-পাকিস্তানে দেশের ইতিহাসের বৃহত্তম রাজনৈতিক ও ধর্মীয় সমাবেশ আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছে। দলটির আমির হাফিজ নাঈমুর রহমান এই সমাবেশ থেকে নতুন এক বৃহৎ আন্দোলনের সূচনার কথা জানিয়েছেন।
লাহোরের মানসুরায় সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে হাফিজ নাঈমুর রহমান বলেন, “এটি হবে পাকিস্তানের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সমাবেশ। এখান থেকেই জনগণের অধিকার আদায়ের জন্য বৃহৎ আন্দোলনের সূচনা হবে। শাসকগোষ্ঠী যদি জনগণের অধিকার ফিরিয়ে না দেয়, তবে শান্তিপূর্ণ কিন্তু শক্তিশালী গণআন্দোলনের মুখোমুখি হতে হবে।”
তিনি জানান, এই তিন দিনের সম্মেলনে বিশ্বব্যাপী ইসলামী আন্দোলনের নেতারা, ফিলিস্তিনপন্থী সংগঠনের প্রতিনিধি এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব অংশ নেবেন। সমাবেশের প্রস্তুতি হিসেবে দেশব্যাপী ৩০,০০০ পাবলিক কমিটি গঠন করা হবে। পাশাপাশি জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে সংহতি অভিযান শুরু করা হবে। হাফিজ নাঈমুর রহমান দেশবাসীকে ওই তিন দিনের সমাবেশে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী যুব, নারী, কৃষক, শ্রমিক এবং নিপীড়িত সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব করে দেশব্যাপী শান্তিপূর্ণ প্রতিরোধ আন্দোলনের নেতৃত্ব দেবে।
সংবাদ সম্মেলনে জামায়াত আমির বর্তমান রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতিকে ‘ভয়াবহ’ বলে উল্লেখ করেন। তার ভাষায়, “গত সাত দশক ধরে চাপিয়ে দেওয়া শাসকগোষ্ঠী দেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে। সাধারণ মানুষ মনে করছে পাকিস্তানে আর কোনো ভবিষ্যৎ নেই। তরুণরা চাকরি ও সুযোগের অভাবে হতাশ। দরিদ্রদের জন্য শিক্ষার দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।”
সংবাদ সম্মেলনে দলের নায়েবে আমির লিয়াকত বালুচ, ড. ওসামা রাজি, সেক্রেটারি জেনারেল আমিরুল আজিমসহ শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এই সমাবেশকে ঘিরে পাকিস্তানের রাজনীতিতে নতুন এক উত্তেজনার সঞ্চার হয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এটি জামায়াতে ইসলামীকে নতুন করে রাজনৈতিক মঞ্চে প্রভাব বিস্তারের সুযোগ করে দিতে পারে।
Leave a comment