স্পেনের একটি বিমানবন্দরে ঘটেছে এমন ঘটনা। ছেলেকে নিয়ে বেড়াতে বেরিয়েছিলেন দম্পতি। বিমানবন্দরে চেকিংয়ের সময় তারা দেখলেন ছেলের পাসপোর্টের মেয়াদ ফুরিয়ে গেছে। ভিসা হচ্ছে না তার।
কিন্তু তাই বলে কি আর যাত্রাভঙ্গ হতে পারে ? ছেলেকে বিমানবন্দরে ফেলে রেখেই ছুটি কাটাতে চলে যান বাবা-মা। এক বিমান পরিষেবা কর্মীর টিকটক ভিডিওর মাধ্যমে ঘটনাটি প্রকাশ্যে এসেছে।
‘দ্য নিউ ইয়র্ক পোস্ট’এর বরাতে জানা গেছে , স্পেনের ওই বিমানবন্দরের এয়ার-অপারেশন কোঅর্ডিনেটর হিসাবে কাজ করা লিলিয়ান নামের এক নারী, টিকটক ভিডিওর মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ঘটনা তুলে ধরেন।
লিলিয়ান বলেন- ছেলেটি পুলিশকে বলেছে, তার মা-বাবা ছুটি কাটাতে নিজ দেশে চলে গেছেন। ছেলেটির স্প্যানিশ পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় এবং তার কোনো বৈধ ভিসা না থাকায় তাকে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি। তখন তারা এক আত্মীয়কে ফোন করে বলে দেন—ছেলেটিকে এসে নিয়ে যেতে।
আত্মীয়র জন্য অপেক্ষা করতে করতে ছেলেটিকে বিমানবন্দরের টার্মিনালে একা বসে কাঁদতে দেখা যায়। লিলিয়ান এই পুরো ঘটনাকে ‘অস্বাভাবিক’ বলে মন্তব্য করেন।
তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, “কীভাবে বাবা-মা এতটা নির্লিপ্তভাবে বিমানে উঠে যেতে পারলেন, যখন তাদের ছোট ছেলেটি কেবল কাগজপত্রের সমস্যার জন্য যেতে পারল না? তারা আত্মীয়কে ফোন করেছে। আত্মীয় তো আধ ঘণ্টা, এক ঘণ্টা বা এমনকী তিন ঘণ্টাও দেরি করতে পারে।”
ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর খোঁজখবর করা হয়, কোন বিমানে কত নম্বর আসনে বসেছেন দম্পতি। পরে পুলিশ ওই স্বামী-স্ত্রীর খোঁজ পায়। তাদের ব্যাগপত্র ফ্লাইট থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তাদেরকে ছেলেটির কাছে নিয়ে যাওয়া হয় এবং পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য পুলিশ স্টেশনে জেরা করার জন্য নেওয়া হয়।
তবে দম্পতিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে কি না তা স্পষ্ট নয়। লিলিয়ান বলেন, “আমি একজন এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলার হিসেবে অনেক কিছু দেখেছি, কিন্তু এমন ঘটনা অবিশ্বাস্য।
“নিজের সন্তানকে ভ্রমণের কাগজপত্রের সমস্যার কারণে ফেলে রেখে চলে যাওয়া, এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।”
Leave a comment