সাফ অনূর্ধ্ব–১৯ চ্যাম্পিয়নশিপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে জয়ের খুব কাছে গিয়েও তা ধরে রাখতে পারেনি বাংলাদেশ। ভারতের অরুণাচলের ইটানগরের গোল্ডেন জুবিলি স্টেডিয়ামে মালদ্বীপের সঙ্গে ২–২ গোলে ড্র করেছে গোলাম রব্বানী ছোটনের শিষ্যরা। শুরুটা ছিল আশাব্যঞ্জক, তবে শেষদিকে ডিফেন্সে ভাঙন ধরায় জয় ফসকে যায় বাংলাদেশের অনূর্ধ্ব-১৯ দলটির।
ম্যাচের শুরুর ১২ মিনিটেই লিড পায় বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষের এক খেলোয়াড়ের ভুল পাস কৌশলে কেটে নিয়ে আক্রমণ সাজান অধিনায়ক নাজমুল হুদা। ডি-বক্সের কাছে উঠে গিয়ে অসাধারণ লম্বা শটে বল জালে জড়ান তিনি। ১-০ গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর বাংলাদেশের খেলা আরও গোছানো ও নিয়ন্ত্রিত হয়ে ওঠে।
প্রথমার্ধের শেষ দিকে ব্যবধান বাড়ান রিফাত কাজী। ৪৪তম মিনিটে নাজমুলের কর্নার থেকে বল পেয়ে মিঠু চৌধুরী প্রথমে শট নেওয়ার সুযোগ না পেলেও দ্রুত নিজেকে সামলে ডিঙিয়ে দেন বল। বাতাসে ভেসে আসা সেই বল মাথা ছুঁয়ে গোলমুখে পাঠান রিফাত। এতে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় বাংলাদেশ।
তবে দ্বিতীয়ার্ধে দৃশ্যপট বদলে যায়। মালদ্বীপের খেলোয়াড়েরা মাঝমাঠে দখল নিতে শুরু করে। বাংলাদেশ বল পজিশনে পিছিয়ে পড়ে এবং আক্রমণ গঠনেও তেমন দৃঢ়তা দেখাতে পারেনি। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে মালদ্বীপ একের পর এক আক্রমণে ওঠে। শেষ পর্যন্ত দুটি সুযোগকে গোলে পরিণত করে সমতা ফেরায় তারা।
এই ড্রয়ে দুই দলেরই ঝুলিতে যুক্ত হয়েছে একটি করে পয়েন্ট। বাংলাদেশের পক্ষে ইতিবাচক দিক হলো—প্রথমার্ধে ছেলেরা যে আগ্রাসী ও সংগঠিত ফুটবল খেলেছে, তা টুর্নামেন্টের পরবর্তী ম্যাচগুলোতে আশার আলো জাগায়। তবে রক্ষণভাগের দুর্বলতা এবং দ্বিতীয়ার্ধে গা ছাড়া মনোভাব নিয়ে কোচিং স্টাফকে ভাবতে হবে, বিশেষ করে পরবর্তী ম্যাচে শক্তিশালী প্রতিপক্ষ ভুটানের বিপক্ষে নামার আগে।
উল্লেখ্য, ভারতের অরুণাচল প্রদেশে অবস্থান করায় ভারত–পাকিস্তান সাম্প্রতিক সংঘাতের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের যুবারা কিছুটা নিরাপত্তাজনিত শঙ্কার মধ্যে আছে। তবে বাফুফে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে দলের সার্বিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করছে। টুর্নামেন্টে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে আগামী রোববার মাঠে নামবে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। প্রতিপক্ষ ভুটান।
Leave a comment