Home আন্তর্জাতিক ভারতে ওয়াকফ আইন কার্যকরের পর, ১৭০টি মাদ্রাসা সিলগালা করা হয়েছে
আন্তর্জাতিক

ভারতে ওয়াকফ আইন কার্যকরের পর, ১৭০টি মাদ্রাসা সিলগালা করা হয়েছে

Share
Share

গত রোববার ভারতের উত্তরাখন্ড রাজ্যের হলদোয়ানি জেলার সাতটি মাদ্রাসায় সিলগালা করেছে রাজ্য প্রশাসন। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) অনলাইন সংবাদমাধ্যম মুসলিম মিরর এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।

হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, রাজ্যের কর্মকর্তাদের দাবি, এসব মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠান রাজ্য শিক্ষা বিভাগের নিবন্ধন ছাড়াই পরিচালিত হওয়ায় সেগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ।

রোববার সংবাদমাধ্যমটির খবরে বলা হয়েছে- সম্প্রতি জেলা প্রশাসন, পৌর কর্তৃপক্ষ এবং স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত একটি যৌথ দল মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বনভুলপুরা এলাকায় ‘বিশেষ পরিদর্শন অভিযান’ পরিচালনা করে। এ সময় প্রতিষ্ঠানগুলোর যথাযথ নিবন্ধন এবং অন্যান্য নিয়ন্ত্রক প্রয়োজনীয়তা মেনে চলার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হয়।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পরিদর্শনকালে বেশ কয়েকটি মাদ্রাসা অনিবন্ধিত পাওয়া গেছে। যার ফলে তাদের মধ্যে সাতটি সিল করা হয়েছে। হলদোয়ানির সিটি ম্যাজিস্ট্রেট এ পি বাজপেয়ী বলেছেন, আমরা হলদোয়ানির মাদ্রাসাগুলো পরিদর্শনের জন্য একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করছি। বেশ কিছু মাদ্রাসা রাজ্য সরকারের নিয়ম লঙ্ঘন করে, যথাযথ নিবন্ধন ছাড়াই পরিচালিত হচ্ছে বলে জানা গেছে। কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে, আমরা এখন পর্যন্ত সাতটি মাদ্রাসা সিল করে দিয়েছি।

কর্মকর্তাদের মতে, জেলা প্রশাসন গত মাসে বনভুলপুরা এলাকার মাদ্রাসাগুলোর একটি প্রাথমিক জরিপ পরিচালনা করেছিল। জরিপে অবস্থান, ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীর সংখ্যা এবং উপলব্ধ সুযোগ-সুবিধার মতো বিশদ বিবরণ নথিভুক্ত করা হয়।

গত ২৬ মার্চ উত্তরাখন্ড সরকার জানিয়েছে, তারা রাজ্যজুড়ে সিল করে দেওয়া ‘অবৈধ’ মাদ্রাসাগুলোর তহবিল তদন্ত করবে এবং এই বিষয়ে একটি প্রতিবেদন সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয়ে জমা দেওয়া হবে। কর্মকর্তারা বলছেন, রাজ্যে প্রায় ৪৫০টি নিবন্ধিত মাদ্রাসা রয়েছে। যারা সরকারকে তাদের নথি, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এবং আয়-ব্যয়ের সম্পূর্ণ বিবরণ দিয়েছে। কিন্তু ৫০০টিরও বেশি মাদ্রাসা কোনো স্বীকৃতি ছাড়াই পরিচালিত হচ্ছে বলে দাবি করেছেন তারা।

এর আগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি পৌরসভার কর্মকর্তারা বনভুলপুরা এলাকায় একটি ‘অবৈধ’ মাদ্রাসা ধ্বংস করে। তাদের দাবি, এটি দখলবিরোধী অভিযানের অংশ ছিল।

যার ফলে মুসলমান এবং হালদোয়ানি পুলিশের মধ্যে সহিংস সংঘর্ষ এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জেলা প্রশাসন ইন্টারনেট পরিষেবা স্থগিত করে এবং সব স্কুল-কলেজ বন্ধের নির্দেশ দেয়।

Share

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Don't Miss

স্থায়ী যুদ্ধবিরতির নিশ্চয়তা পেলে জিম্মিদের দ্রুত রেহাই দেবে হামাস

গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতির নিশ্চয়তা পেলে শিগগিরই ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি দেবে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। ১৪ এপ্রিল (সোমবার ) হামাস গোষ্ঠীর এক জ্যেষ্ঠ নেতা...

জবিতে প্রথমবারের মতো আয়োজিত হয়েছে বৈশাখী মেলা

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) বর্ণিল আয়োজনের মধ্য দিয়ে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদযাপন করেছে । রঙিন সাজসজ্জা, শোভাযাত্রা, বৈশাখী মেলা ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় মুখর হয়ে...

Related Articles

রানি এলিজাবেথ কেন এড়িয়ে চলতেন ইসরায়েলিদের

  ব্রিটেনের প্রয়াত রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ কখনোই ইসরায়েলকে পছন্দ করতেন না—এমনটাই দাবি...

গাজায় এক মাসে ৫ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত

  ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় গত এক মাসে ইসরায়েলি হামলায় নতুন করে প্রায়...

গাজা পরিদর্শন শেষে যে হুমকি দিলেন নেতানিয়াহু

প্রায় ১৮ মাস ধরে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় চলছে ইসরায়েলি আগ্রাসন। এর জেরে বিশ্বজুড়ে...

ট্রাম্প প্রশাসন সব কিছু ধ্বংস করে দিচ্ছে: বাইডেন

শুল্ক আরোপ থেকে শুরু করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নীতি...