ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন ও গণহত্যা বন্ধের দাবিতে ঢাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)। শুক্রবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশ শেষে মিছিলটি প্রেসক্লাব থেকে শুরু হয়ে পল্টন, নূর হোসেন চত্বর, জিপিও, বায়তুল মোকাররম হয়ে সেগুনবাগিচায় বাসদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়।
সমাবেশে দলের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ বলেন, ইসরায়েল একটি কৃত্রিম সামরিক রাষ্ট্র, যা আমেরিকান সাম্রাজ্যবাদের নেতৃত্বে মধ্যপ্রাচ্যে আধিপত্য বিস্তারের জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, ইসরায়েল ইতিমধ্যে গাজার অর্ধেক ভূমি দখল করেছে এবং যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দুনিয়া অর্থ ও অস্ত্র দিয়ে তাকে ‘দানবে’ পরিণত করেছে।
বজলুর রশীদ আরও বলেন, এটি মুসলমান ও ইহুদিদের লড়াই নয়, বরং মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ ও জায়নবাদবিরোধী ফিলিস্তিনি জনগণের স্বাধীনতার সংগ্রাম। তিনি দাবি করেন, ইসরায়েলের ভেতরেও গণহত্যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ চলছে এবং সেখানে অনেক ইহুদি ও বামপন্থী ব্যক্তি গাজার হত্যাযজ্ঞের বিরোধিতা করছেন।
সমাবেশে বক্তারা মিসর, জর্ডান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ কিছু মুসলিম দেশের ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ককে ‘লজ্জাজনক’ আখ্যা দেন। ৭ এপ্রিল ফিলিস্তিনপন্থী মিছিলে হামলা ও লুটপাটের ঘটনারও তীব্র নিন্দা জানিয়ে জড়িতদের শাস্তির দাবি জানান।
বাংলাদেশ সরকারের ‘সাধারণ’ কূটনৈতিক বিবৃতি নিয়েও সমালোচনা করেন বাসদ নেতারা। তাদের দাবি, বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্র বা ইসরায়েলের নাম না থাকায় সরকারের অবস্থান দুর্বল ও পরোক্ষভাবে পক্ষপাতদুষ্ট।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন জুলফিকার আলী, খালেকুজ্জামান লিপন, আবু নাঈম খান বিপ্লব, রুখসানা আফরোজ আশা ও ছাত্রনেতা মুক্তা বাড়ৈ প্রমুখ।
বাসদ নেতারা বাংলাদেশ সরকারকে ইসরায়েলের সঙ্গে সব কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার আহ্বান জানান এবং জাতিসংঘের নিষ্ক্রিয় ভূমিকাকেও কঠোরভাবে সমালোচনা করেন।
Leave a comment