ইয়েমেনে হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক অভিযান নতুন মাত্রা পেয়েছে। দেশটির বিভিন্ন প্রদেশে ধারাবাহিক বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যার ফলে উত্তেজনা আরও বেড়েছে। হুথি গোষ্ঠী প্রতিশোধের ঘোষণা দিয়েছে এবং ইসরাইল-বিরোধী অভিযান জোরদার করেছে।
পেন্টাগনের তথ্য অনুযায়ী, এক দিনের কম সময়ের মধ্যে ইয়েমেনের সানা, মাজ্জার, জওবা ও মারিব প্রদেশে প্রায় ৩০টি বিমান হামলা চালানো হয়েছে।
এই হামলার উদ্দেশ্য হুথিদের সামরিক অবকাঠামো ধ্বংস করা বলে জানিয়েছে মার্কিন কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে, হুথি বিদ্রোহীরা জানিয়েছে, তারা ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে। হুথিদের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “যতদিন ফিলিস্তিনে আগ্রাসন চলবে, ততদিন লোহিত সাগরে আমাদের অভিযান থামবে না।” তারা আরও জানিয়েছে, ইসরাইলি ভূখণ্ড লক্ষ্য করে তারা হাইপারসোনিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই সংঘর্ষ শুধু ইয়েমেনে সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি মধ্যপ্রাচ্যে একটি বড় কৌশলগত লড়াইয়ের প্রতিচ্ছবি। অনেকে মনে করছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই অঞ্চলে তার সামরিক প্রভাব বজায় রাখতে এবং ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠীগুলোর শক্তি দমন করতে এসব হামলা চালাচ্ছে।
তবে হুথি গোষ্ঠী এখনও শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলছে। ইয়েমেনের ভূপ্রকৃতিগত সুবিধা এবং দীর্ঘ অভিজ্ঞতা তাদেরকে একটি কৌশলগত অবস্থানে রেখেছে বলে ধারণা করা হচ্ছেc
এই সংঘাতের সবচেয়ে বড় শিকার হচ্ছেন ইয়েমেনের সাধারণ জনগণ। নাগরিক অবকাঠামো ধ্বংস হচ্ছে, নিরাপত্তাহীনতা বাড়ছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এই সংকট নিরসনে উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে, তবে এখনো পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দেখা যায়নি।
Leave a comment