

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আজ ব্যাংককে একটি গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে মিলিত হন। দুই দেশের সম্পর্কোন্নয়ন, অর্থনৈতিক সহযোগিতা এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা নিয়ে ৪০ মিনিটব্যাপী এই বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
অধ্যাপক ইউনূস বৈঠকের শুরুতে বলেন, বাংলাদেশ ভারতের সঙ্গে তার ঐতিহাসিক সম্পর্ককে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়। তিনি ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতের অবদানকে কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন এবং বলেন, দুই দেশের বন্ধুত্ব শুধু ভৌগোলিক ও সাংস্কৃতিক নয়, বরং এটি গভীর ঐতিহাসিক ভিত্তির ওপর গড়ে উঠেছে।
বৈঠকে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়। অধ্যাপক ইউনূস বিমসটেকের নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে ভারতের সমর্থন চান, বিশেষ করে সাত সদস্যদেশের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি বাস্তবায়নের বিষয়ে। তিনি গঙ্গা ও তিস্তা নদীর পানিবণ্টন চুক্তি দ্রুত বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয়তার ওপরও গুরুত্ব দেন।
প্রধানমন্ত্রী মোদি অধ্যাপক ইউনূসকে বিমসটেক চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের জন্য অভিনন্দন জানান এবং ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানান। তিনি বলেন, ভারত সবসময় বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত এবং দুই দেশের সম্পর্ককে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়।
বৈঠকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হয়। অধ্যাপক ইউনূস সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন এবং বলেন, তিনি মিডিয়ার মাধ্যমে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করার চেষ্টা করছেন। ভারতের আতিথেয়তার সুযোগ নিয়ে শেখ হাসিনা বাংলাদেশবিরোধী প্রচারণা চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, ভারত বাংলাদেশের কোনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করে না এবং ভারতের সম্পর্ক ব্যক্তি নয়, বরং দেশের জনগণের সঙ্গে।
অধ্যাপক ইউনূস সীমান্ত হত্যা ইস্যু উত্থাপন করে বলেন, এ ধরনের ঘটনা বন্ধ হলে দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক আস্থা আরও সুদৃঢ় হবে। প্রধানমন্ত্রী মোদি জানান, সীমান্তরক্ষীরা শুধুমাত্র আত্মরক্ষার জন্য গুলি চালায় এবং এ ধরনের মৃত্যু এড়াতে দুই দেশকেই যৌথভাবে কাজ করতে হবে।
বাংলাদেশের সংখ্যালঘু পরিস্থিতি নিয়ে মোদির উদ্বেগের জবাবে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, এসব হামলার প্রতিবেদন অনেকাংশে অতিরঞ্জিত এবং বেশিরভাগই গুজবভিত্তিক।
বৈঠকে উভয় নেতা পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সহযোগিতার মনোভাব প্রকাশ করেন। অধ্যাপক ইউনূস বলেন, বাংলাদেশ ও ভারত কৌশলগত অংশীদার হিসেবে একসঙ্গে কাজ করলে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সম্ভব।
প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, ভারত ও বাংলাদেশ সম্পর্ক ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ এবং ভবিষ্যতেও দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করে যাবে।
এই বৈঠক দক্ষিণ এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হয়ে থাকবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
যুক্তরাষ্ট্রে দ্রুত নাগরিকত্ব পেতে আগ্রহী ধনী বিদেশিদের জন্য নতুন ভিসা কর্মসূচি চালু করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। ‘ট্রাম্প গোল্ড ভিসা’ নামের এই বিশেষ প্রোগ্রামের আওতায়...
ByDesk ReportDecember 11, 2025অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যেই প্রায় দুই শতাধিক ইসরায়েলি জোরপূর্বক প্রবেশ করেছে । ইসরায়েলি পুলিশের সহায়তায় তারা পবিত্র স্থানটিতে...
ByDesk ReportDecember 11, 2025ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী এবং ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান...
ByDesk ReportDecember 14, 2025মুন্সীগঞ্জে সেনাবাহিনীর অভিযানে সদর থানা থেকে লুট হওয়া একটি শটগান ও এক...
ByDesk ReportNovember 30, 2025দক্ষিণ এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক ইতিহাসে শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা...
ByDesk ReportNovember 19, 2025ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির ঐতিহাসিক লালকেল্লার কাছে ভয়াবহ বিস্ফোরণে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে ১৩...
ByDesk ReportNovember 11, 2025Excepteur sint occaecat cupidatat non proident
Leave a comment