দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ পুনরায় ২০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে রিজার্ভ ২১ বিলিয়ন ডলারে উঠলেও আকুর বিল পরিশোধের পর তা ১৯ বিলিয়নের ঘরে নেমে আসে। তবে পণ্য রপ্তানির ইতিবাচক ধারা ও স্থিতিশীল রেমিট্যান্স প্রবাহের ফলে রিজার্ভ আবারও ২০ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্যানুসারে, ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেশের মোট গ্রোস রিজার্ভ ২৫.৫৪ বিলিয়ন ডলার, আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) অনুমোদিত হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী তা ২০.২০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। তবে ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ এখনো ১৫ বিলিয়নের ঘরে রয়েছে।
২০২৫ সালের জানুয়ারির শুরুতে বৈদেশিক মুদ্রার মোট রিজার্ভ ছিল ২৬.২০ বিলিয়ন ডলার, বিপিএম-৬ অনুসারে যা ছিল ২১.৩৬ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু ৯ জানুয়ারি এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) আমদানি বিল বাবদ ১৬৭ কোটি ডলার পরিশোধের পর রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে আসে। ২২ জানুয়ারি এটি আরও কমে বিপিএম-৬ অনুযায়ী ১৯.৯৪ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়ায়।
ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ সম্পর্কে বাংলাদেশ ব্যাংক আনুষ্ঠানিক তথ্য প্রকাশ না করলেও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এটি বর্তমানে প্রায় ১৫ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি। সাধারণত, একটি দেশের ন্যূনতম তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর জন্য প্রয়োজনীয় রিজার্ভ থাকা জরুরি, যা বর্তমানে বাংলাদেশে রয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভের তিনটি হিসাব সংরক্ষণ করে— মোট রিজার্ভ, আইএমএফ-এর বিপিএম-৬ পদ্ধতিতে হিসাব করা রিজার্ভ, এবং ব্যবহারযোগ্য বা ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ। মোট রিজার্ভের মধ্যে তৈরি পোশাক শিল্পসহ বিভিন্ন খাতের জন্য বরাদ্দ তহবিল রয়েছে, যা ব্যয়যোগ্য রিজার্ভের অংশ নয়।
প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ ১৪ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে গিয়েছিল। তখন বৈদেশিক ঋণ এবং বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে ডলার কেনার মাধ্যমে রিজার্ভ সামাল দেওয়া হয়। ২০২৪ সালের আগস্টে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর নতুন গভর্নর রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি বন্ধ রাখেন এবং নতুন উৎস থেকে ডলার যোগানের চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে আগের দায় পরিশোধের কারণে রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলারের ঘরে ওঠানামা করছে।
Leave a comment