বিশ্ব ইজতেমার জন্য টঙ্গীর তুরাগ তীরে প্রস্তুতি কার্যক্রম পুরোদমে চলছে। ময়দানের বেশিরভাগ অংশ ইতোমধ্যে সামিয়ানা ও টিনের চালা দিয়ে ঢেকে ফেলা হয়েছে। বিদেশি অতিথিদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থাসহ ময়দানের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজও শেষ পর্যায়ে রয়েছে।
ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার ও গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক শরফ উদ্দিন আহমদ চৌধুরী শুক্রবার ইজতেমা মাঠ পরিদর্শন করেন। তিনি জানান, প্রস্তুতির ৭০ শতাংশ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে এবং বাকি কাজগুলো নির্ধারিত সময়ের আগেই শেষ হবে বলে আশাবাদী। তিনি বলেন, “ইজতেমার পরিধি বেড়ে যাওয়ায় আয়োজকদের সহায়তার প্রয়োজন হয়। সরকার বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাদের সহযোগিতা করছে, যেমন টয়লেট, স্বাস্থ্যসেবা, খাবার ও ওজুর পানি সরবরাহ।”
ইজতেমার আয়োজন কার্যক্রম তাবলিগ জামাতের মুরুব্বিরা পরিচালনা করেন। তবে তাদের চাহিদা অনুযায়ী সরকার টয়লেট নির্মাণ, বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগসহ বিভিন্ন মৌলিক চাহিদা পূরণে ভূমিকা রাখছে। শরফ উদ্দিন বলেন, “গাজীপুর সিটি করপোরেশন, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন এবং পাবলিক হেলথ ডিপার্টমেন্টসহ বিভিন্ন সংস্থা যৌথভাবে ইজতেমার সুষ্ঠু আয়োজন নিশ্চিত করছে।”
ইজতেমা মাঠের আশেপাশে থাকা দোকানপাট ও অবৈধ স্থাপনাগুলো সরাতে রোববার থেকে অভিযান চালাবে জেলা প্রশাসন। দোকানদারদের আগেই স্বেচ্ছায় স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
ইজতেমায় অংশগ্রহণকারী মুসল্লিদের সুবিধার্থে আয়োজক কর্তৃপক্ষ টিনের চালার ব্যবস্থা করেছে। চটের পরিবর্তে টিন ব্যবহারের চাহিদা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া মুসল্লিদের নির্বিঘ্নে যাতায়াত নিশ্চিত করতে সরকার সচেষ্ট।
আগামী ৩১ জানুয়ারি শুরু হতে যাচ্ছে মুসলমানদের এই মহাসম্মেলন। আয়োজকরা আশাবাদী, এর আগেই সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হবে।
ইজতেমা মাঠে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম শফিউল আজম এবং গাজীপুর জেলা প্রশাসক নাফিসা আরেফিন।
Leave a comment