১৬ বছর আগে দায়ের করা দুর্নীতি মামলায় খালাস পেয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় রোববার (৫ অক্টোবর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক কামরুল হাসান খান এ রায় ঘোষণা করেন।
রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। রায়ের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন তার আইনজীবী বোরহান উদ্দিন।
মামলার নথি অনুযায়ী, ২০০৯ সালের ৫ জানুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপপরিচালক এস. এম. মফিদুল ইসলাম বাদী হয়ে রমনা থানায় মামলাটি দায়ের করেন। অভিযোগে বলা হয়, রায়েরবাজারে গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের ছয়তলা ভবনের নির্মাণ ব্যয় দেখানো হয় ৪০ লাখ ৮০ হাজার টাকা, এবং কেরানীগঞ্জে পৈত্রিক জমিতে নির্মিত বাড়ির ব্যয় দেখানো হয় ১৫ লাখ ৪ হাজার টাকা। তবে গণপূর্ত বিভাগের হিসাব অনুযায়ী এসব ভবনের প্রকৃত নির্মাণ ব্যয় ছিল ২৫ লাখ ৩৬ হাজার ৫০৫ টাকা।
এছাড়া অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, তার বাসায় ৫৮ হাজার ৬০০ টাকার ইলেকট্রনিক সামগ্রী পাওয়া গেলেও তা সম্পদ ঘোষণায় উল্লেখ করা হয়নি। একইসঙ্গে ২০০৪-০৫ অর্থবছরে ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে মেসার্স আব্দুল মোনেম লিমিটেড ও রেজা কনস্ট্রাকশন লিমিটেড থেকে ২ কোটি ৬১ লাখ টাকা গ্রহণের অভিযোগও আনা হয়। সব মিলিয়ে তার বিরুদ্ধে ২ কোটি ৮৬ লাখ ৯৫ হাজার ১০৫ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ দাখিল করে দুদক।
মামলাটি তদন্ত শেষে একই বছরের ৫ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা এস. এম. মফিদুল ইসলাম। ২০১০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়।
বিচার চলাকালে ৪৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৯ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন। আত্মপক্ষ শুনানি ও উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে খালাস দেন।রায়ের পর গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, “আইনের প্রতি আমার আস্থা ছিল, আদালত তা প্রমাণ করেছে। সত্যের জয় হয়েছে।”
Leave a comment