সিলেট নগরীর লাক্কাতুরা চা বাগানের নির্জন টিলা থেকে অজ্ঞাতনামা এক নারীর মরদেহ উদ্ধারের চারদিন পর রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ।
মোবাইল কল রেকর্ডের সূত্র ধরে নিহতের পরিচয় শনাক্তের পর তার স্বামী ফারুক আহমেদকে আটক করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি স্ত্রী হত্যার কথা স্বীকার করেন।
নিহত রাবেয়া বেগম (২৫) সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার থানার মওলারপাড় গ্রামের মৃত মাহতাব মিয়ার মেয়ে। অভিযুক্ত স্বামী ফারুক আহমেদ একই জেলার সদর থানার রাঙ্গারচর গ্রামের প্রবাসফেরত আব্দুল আজিজের ছেলে।
রোববার (১৯ অক্টোবর) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, “তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় নিহতের পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। ঘাতক ফারুককে গ্রেফতার করা হয়েছে, তার সহযোগী আলামিনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।”
পুলিশ জানায়, গত ১৪ অক্টোবর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এয়ারপোর্ট থানার লাক্কাতুরা চা বাগানের ‘ভাইগণ টিলা’ এলাকায় ঝোপের ভেতর থেকে এক নারীর আংশিক পচনধরা মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া ব্যাগে জামাকাপড় ও একটি মেমোরি কার্ড ছিল। ওই কার্ডের অডিও রেকর্ড ও সংশ্লিষ্ট ফোন নম্বরের কললিস্ট বিশ্লেষণ করে নিহতের পরিচয় জানা যায়।
তথ্যপ্রযুক্তির সূত্র ধরে গত ১৭ অক্টোবর শুক্রবার রাতে ফারুক আহমেদকে আটক করে পুলিশ। প্রথমে তিনি হত্যার অভিযোগ অস্বীকার করলেও পরে জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেন, স্ত্রীর পূর্বের বিয়ে ও পরকীয়ার সন্দেহে ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি এই হত্যাকাণ্ড ঘটান।
ফারুক পুলিশের কাছে জানান, স্ত্রীকে নিয়ে ১৩ অক্টোবর সিলেটে বেড়াতে আসেন তিনি। পরে ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে লাক্কাতুরা চা বাগানের নির্জন টিলায় নিয়ে গিয়ে ফুফাতো ভাই আলামিনের সহায়তায় বিকেল ৪টার দিকে গলাটিপে স্ত্রীকে হত্যা করেন।
এ ঘটনায় নিহতের চাচা রিপন মিয়া ১৭ অক্টোবর এয়ারপোর্ট থানায় ফারুক ও অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেন। শনিবার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার পর ফারুককে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
Leave a comment