সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার লোভাছড়া পাথর কোয়ারি থেকে সব ধরনের পাথর স্থানান্তর ও পরিবহন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরো (বিএমডি)। সম্প্রতি গণমাধ্যমে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন ও পরিবহনের খবর প্রকাশিত হওয়ার পর জরুরি ভিত্তিতে এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
বিএমডির নির্দেশনা অনুযায়ী, লোভাছড়া এলাকায় জব্দ করা প্রায় ৪৪ লাখ ঘনফুট পাথর ইতোমধ্যেই নিলামে বিক্রি করা হয়েছিল, তবে সেই পাথর অপসারণের সময়সীমা ২৩ জুলাই শেষ হয়ে গেছে। নিলামক্রেতারা সময় বাড়ানোর জন্য আদালতে রিট করলেও এখনো কোনো আদেশ হয়নি। ফলে নতুন করে আর কোনো পাথর পরিবহন বা স্থানান্তরের সুযোগ নেই বলে জানানো হয়েছে।
কানাইঘাটের নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানিয়া আক্তার জানিয়েছেন, নির্দেশনার পর থেকে কঠোর নজরদারি চলছে যাতে রাতের অন্ধকারেও কেউ পাথর সরাতে না পারে। তাঁর ভাষায়, “একটি পাথরও অপসারণ করতে দেওয়া হবে না।”
বিএমডির মহাপরিচালক স্থানীয় প্রশাসনকে অনুরোধ করেছেন সরকারি স্বার্থে লোভাছড়া থেকে অবৈধ ও অননুমোদিতভাবে পাথর উত্তোলন, আহরণ ও পরিবহন বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে। সরকার কোয়ারি ইজারা দেওয়াও আপাতত স্থগিত রেখেছে।
অভিযানের মধ্যেই নানা কৌশলে পাথর লুটের অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে ওঠায় স্থানীয় জনমনে ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল। এবার বিএমডির নির্দেশের ফলে লোভাছড়ায় অবৈধ পাথর বাণিজ্য বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
Leave a comment