সিলেটের সরকারি গেজেটভুক্ত পর্যটনকেন্দ্র সাদাপাথর থেকে লুট হওয়া পাথর ফেরত দিতে এবার সরাসরি আলটিমেটাম জারি করল জেলা প্রশাসন। অভিযুক্তদের আগামী ২৬ আগস্ট, মঙ্গলবার বিকেল ৫টার মধ্যে নিজ খরচে পাথরগুলো ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ তথ্য নিশ্চিত করে সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) পদ্মাসন সিংহ জানান,
“নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ভোলাগঞ্জ ১০ নম্বর ঘাট ডাম্পিং স্টেশনে নিজ উদ্যোগে লুট হওয়া পাথর ফেরত পাঠাতে হবে। তা না হলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
কোম্পানীগঞ্জসহ আশপাশের এলাকায় মাইকিং করে অভিযুক্তদের পাথর ফেরত দেওয়ার আহ্বান জানানো হচ্ছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমেও বার্তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে, যাতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সাদাপাথর পর্যটনকেন্দ্রে পাথরগুলো ফেরত আসে।
প্রশাসন জানিয়েছে, নির্ধারিত সময়সীমার পর যদি কোনো এলাকায় অভিযান চালিয়ে পাথর উদ্ধার করা হয়, তাহলে শুধু অভিযুক্ত নয়, সেই এলাকার জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আরও বলেন, “আমরা মূল হোতাদেরও আইনের আওতায় আনতে কাজ করছি। যারা এই লুটপাটের সঙ্গে জড়িত, কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।”
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় অবস্থিত সাদাপাথর পর্যটনকেন্দ্রটি দেশের অন্যতম জনপ্রিয় ভ্রমণস্থল। সাদা পাথর, স্বচ্ছ জলধারা ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য প্রতি বছর হাজারো পর্যটক এখানে ভিড় করেন।
কিন্তু সম্প্রতি পাথর লুটপাটের ঘটনা পর্যটনকেন্দ্রের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই অসাধু চক্র সুযোগ নিয়ে পর্যটনকেন্দ্র থেকে পাথর লুট করছে।
প্রশাসন বলছে, এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শুধু লুট হওয়া পাথর ফেরত আনা নয়, একইসঙ্গে অভিযুক্ত চক্রকে আইনের আওতায় আনা হবে। জেলা প্রশাসনের কঠোর অবস্থান ইতোমধ্যেই স্থানীয়ভাবে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, প্রশাসনের এই আলটিমেটাম কার্যকর হলে ভবিষ্যতে আর কোনো চক্র এত সহজে পাথর লুট করার সাহস দেখাবে না।
Leave a comment