চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় দীর্ঘ এক দশক নিঃসন্তান থাকার পর একসঙ্গে পাঁচ সন্তানের জন্ম দিয়ে আলোচনায় এসেছেন এনি আক্তার নামের এক নারী। সোমবার (৮ ডিসেম্বর) রাতে নগরীর পিপলস হাসপাতালে জন্ম নেওয়া নবজাতকদের মধ্যে তিনজন কন্যা ও দুইজন পুত্র।
অনেক বছর চিকিৎসার পরও সন্তান লাভে ব্যর্থ হয়ে চিকিৎসকদের পরামর্শে ইন্ট্রা ইউটেরাইন ইনসেমিনেশন (IUI) পদ্ধতি গ্রহণ করেন এনি আক্তার ও তার স্বামী। আর্থিকভাবে অসচ্ছল হলেও বহু কষ্টে চিকিৎসা চালিয়ে আসছিলেন তারা। অবশেষে তাদের দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটল, যা এলাকাজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
রাঙামাটি মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ও ইনফার্টিলিটি বিশেষজ্ঞ ডা. ফরিদা ইয়াসমিন সুমি বলেন,“এনি আক্তার বহু বছর ধরে সন্তানের জন্য সংগ্রাম করেছেন। আর্থিক অসুবিধা থাকা সত্ত্বেও চিকিৎসা চালিয়ে গেছেন। একসঙ্গে পাঁচ সন্তানের জন্ম সত্যিই বিরল ও ব্যতিক্রমী ঘটনা।”
জন্মের পর পাঁচ নবজাতককেই চট্টগ্রাম পার্ক ভিউ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (NICU) স্থানান্তর করা হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তিন শিশুর ওজন যথাক্রমে ১ কেজি ৬০০ গ্রাম, ১ কেজি ৫০০ গ্রাম এবং ১ কেজি ৪০০ গ্রাম। বাকি দুই কন্যাশিশুর ওজন মাত্র ১ কেজি হওয়ায় তাদের বিশেষ পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
চিকিৎসকদের মতে, সকল নবজাতককে প্রথম ৭২ ঘণ্টা বিশেষ নজরদারিতে রাখা হবে, কারণ কম ওজনের শিশুর ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্টসহ নানা জটিলতা দেখা দেওয়ার ঝুঁকি থাকে।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মা এনি আক্তার বর্তমানে সুস্থ আছেন এবং নিয়মিত পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। তবে নবজাতকদের চিকিৎসা ব্যয় নিয়ে চিন্তায় আছেন তার স্বামী। তবুও দীর্ঘ দশ বছরের অপেক্ষার পর একসঙ্গে পাঁচ সন্তানের আগমনে উচ্ছ্বসিত পুরো পরিবার ও গ্রামবাসী।
Leave a comment