শেরপুরে একদিনে তিনটি পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় দুইজন নিহত এবং সাতজন আহত হয়েছেন। শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাতের বিভিন্ন সময়ে জেলার সদর, নকলা ও ঝিনাইগাতী এলাকায় এসব দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন আহসান (৩৫) ও মমতাজ (৫০)।
রাত সাড়ে ১১টার দিকে শেরপুর-ঝিনাইগাতী সড়কের বাজিতখিলা কুমড়ি এলাকায় একটি যাত্রীবাহী বাস, মাহিন্দ্র ও অটোরিকশার ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান আহসান নামের এক ব্যক্তি। এ দুর্ঘটনায় আরও পাঁচজন আহত হন।
আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে শেরপুর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকরা প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর গুরুতর আহত একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
এর আগে রাত ৮টার দিকে শেরপুর-ময়মনসিংহ মহাসড়কের নকলা উপজেলার বাদাগৈর মোড়ে আরেকটি দুর্ঘটনা ঘটে। সোনার বাংলা পরিবহনের একটি বাস রাস্তা পার হওয়ার সময় মমতাজ নামের এক নারীকে চাপা দিলে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান।
দুর্ঘটনার পর স্থানীয়রা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশে খবর দেন। এ সময় ক্ষুব্ধ জনতা ঘাতক বাসটি আটক করলেও চালক ও তার সহকারী পালিয়ে যায়।
এছাড়া সদর উপজেলার শিমুলতলি এলাকায় গরুবাহী একটি নসিমনের পেছনে দ্রুতগামী একটি গাড়ি ধাক্কা দিলে আরও দুইজন গুরুতর আহত হন। বর্তমানে তারা শেরপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, দুর্ঘটনাস্থলে পর্যাপ্ত সড়কবাতি ও ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ না থাকায় প্রায়ই এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটছে।
শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুবাইদুল আমল এবং নকলা থানার ওসি হাবিবুর রহমান জানিয়েছেন, প্রতিটি দুর্ঘটনার তদন্ত চলছে। তারা বলেন, “ঘটনাগুলো তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দুর্ঘটনায় জড়িত যানবাহন ও দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
শেরপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে সড়ক দুর্ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সড়কের অনিয়মিত গতি নিয়ন্ত্রণ, বেপরোয়া ড্রাইভিং এবং পর্যাপ্ত সড়ক নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকায় দুর্ঘটনা ক্রমশ বাড়ছে।
Leave a comment