২০২৫ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারপ্রাপ্ত ভেনেজুয়েলার গণতন্ত্রকামী নেত্রী মারিয়া করিনা মাচাদোকে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ও নোবেলজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। শুক্রবার প্রকাশিত এক বার্তায় তিনি মাচাদোর সাহসিকতা, নেতৃত্ব ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় অবিচল ভূমিকার প্রশংসা করেন।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “আমি মারিয়া করিনা মাচাদোকে আমার অন্তরের অন্তস্তল থেকে অভিনন্দন জানাই। তিনি তার প্রিয় ভেনেজুয়েলায় গণতন্ত্র রক্ষায় সাহসিকতার সঙ্গে লড়েছেন। নির্যাতন ও প্রতিবন্ধকতার মুখে কখনো থেমে যাননি। তাঁর দেশ ও জনগণের জন্য একটি স্বাধীন ও ন্যায়পরায়ণ ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে তিনি অটল প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিলেন।”
ইউনূস আরও বলেন, নোবেল কমিটি যে বার্তা দিয়েছে, তা আজকের বিশ্বে বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। তিনি উদ্ধৃতি দেন, “গণতন্ত্র নির্ভর করে
তাদের ওপর, যারা নীরব থাকতে অস্বীকার করেন, যারা ঝুঁকি নিয়ে সামনে আসেন, এবং যারা আমাদের মনে করিয়ে দেন যে স্বাধীনতা স্বাভাবিকভাবে আসে না; সেটিকে সর্বদা রক্ষা করতে হয়— কথায়, সাহসে ও দৃঢ়তায়।”
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, মারিয়া করিনা মাচাদো এক উত্তম বিশ্বের স্বপ্ন দেখেছেন এবং সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে অবিরাম পরিশ্রম করেছেন। তাঁর দৃঢ়চেতা নেতৃত্ব ভেনেজুয়েলা ও লাতিন আমেরিকার নারীদের জন্য অনুপ্রেরণার প্রতীক হয়ে থাকবে। অধ্যাপক ইউনূস তাঁর বার্তার শেষে আবারও বলেন, “অভিনন্দন মারিয়া করিনা মাচাদো।”
ভেনেজুয়েলার বিরোধী রাজনীতিক ও সাবেক সংসদ সদস্য মারিয়া করিনা মাচাদো সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশটির স্বৈরতান্ত্রিক শাসনের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান নিয়ে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে আলোচিত হয়েছেন। তিনি গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও রাজনৈতিক স্বাধীনতার পক্ষে নির্ভীক লড়াই চালিয়ে গেছেন।
নোবেল কমিটি ২০২৫ সালের শান্তি পুরস্কারের জন্য মাচাদোকে মনোনীত করার সময় উল্লেখ করেছে, “তিনি নির্যাতনের মুখে অদম্য সাহস দেখিয়েছেন এবং নিজের দেশের মানুষের জন্য গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন।”
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালনরত অধ্যাপক ইউনূস দীর্ঘদিন ধরে শান্তি, সামাজিক ব্যবসা ও মানবকল্যাণে তাঁর ভূমিকার জন্য বিশ্বব্যাপী পরিচিত। নোবেলজয়ীর প্রতি তাঁর এই শুভেচ্ছা বার্তা আন্তর্জাতিক মহলেও ইতিবাচক বার্তা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
Leave a comment