লক্ষ্মীপুরে পারিবারিক বিরোধের জেরে রাশেদা বেগম (৫০) নামে এক নারীকে গলা কেটে হত্যা করেছে ইমন হোসেন (২২) নামের এক যুবক। হত্যার পর পালানোর চেষ্টা না করে ঘরের সিলিংয়ের ভেতর লুকিয়ে ছিলেন তিনি। তবে পুলিশ গিয়ে দ্রুত তাকে আটক করে। শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ভোরে পৌরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের লাহারকান্দি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রাশেদা স্থানীয় মোবারক হোসেনের স্ত্রী। আর আটক ইমন একই এলাকার সেলিম হোসেনের ছেলে। পারিবারিক সম্পর্ক অনুযায়ী তিনি নিহতের ভাতিজা।
পুলিশ ও স্বজনদের বরাত দিয়ে জানা যায়, রাশেদা বেগম দীর্ঘদিন ধরে স্বামীর সঙ্গে বসবাস করলেও অধিকাংশ সময় বাড়িতে একাই থাকতেন। শুক্রবার ভোরে ফজরের নামাজের জন্য ওজু করতে বাইরে বের হন তিনি। এ সময় ঘরের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা ইমনকে দেখে তার কারণ জানতে চান। কিন্তু কোনো উত্তর না দেওয়ায় রাশেদা ঘরে ফিরে যান।
কিছুক্ষণ পর ইমন ঘরে ঢুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে এলোপাতাড়ি কোপাতে শুরু করে। রাশেদা চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন ছুটে আসেন। লোকজনকে আসতে দেখে ইমন দ্রুত ঘরের সিলিংয়ে উঠে লুকিয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। পরে সিলিংয়ের ভেতর থেকে ইমনকে নামিয়ে আটক করা হয়। এ সময় পুলিশ মরদেহও উদ্ধার করে। পুলিশের উপস্থিতিতেই ইমন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার দায় স্বীকার করে জানায়, তার স্ত্রীর সঙ্গে রাশেদার প্রায়ই ঝগড়া হতো। এর জেরেই তিনি এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. রেজাউল হক সাংবাদিকদের বলেন, “প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, পারিবারিক বিরোধের জেরেই হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে। অভিযুক্ত যুবককে থানায় আনা হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।” লক্ষ্মীপুরের লাহারকান্দি এলাকার এ হত্যাকাণ্ড আবারও মনে করিয়ে দিয়েছে— পারিবারিক বিরোধ নিয়ন্ত্রণে না আনতে পারলে তা ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনতে পারে।
Leave a comment