রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে চলমান যুদ্ধ আবারও নতুন করে তীব্র আকার ধারণ করেছে। রাতভর আকাশপথে রাশিয়ার ‘ব্যাপক’ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলায় ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভসহ একাধিক শহর কেঁপে উঠেছে। প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, এসব হামলায় অন্তত তিনজন নিহত ও ৩০ জনের বেশি আহত হয়েছেন। হামলার শিকার হয়েছে আবাসিক এলাকা ও বেসামরিক স্থাপনা। ওদেসা, সুমি, ঝাপোরিঝিয়া, পোলতাভাসহ বিভিন্ন অঞ্চলে ক্ষয়ক্ষতির খবর মিলেছে।
ইউক্রেনের বিমান বাহিনী দাবি করেছে, রাশিয়া রাতভর অন্তত ৬১৯টি ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ব্যবহার করেছে। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় অবশ্য বলছে, এসব হামলায় নির্ভুল অস্ত্র ব্যবহার করে মূলত সামরিক ও শিল্প স্থাপনাকে লক্ষ্য করা হয়েছে। তবে স্থানীয় প্রশাসন বলছে, সাধারণ নাগরিকের ঘরবাড়ি, দোকানপাট ও বিদ্যুৎকেন্দ্রও আঘাতের শিকার হয়েছে।
এদিকে পাল্টা আক্রমণে ইউক্রেন দাবি করেছে, তারা রাশিয়ার সামারা অঞ্চলে ড্রোন হামলা চালিয়ে একটি তেল পরিশোধন কেন্দ্রকে লক্ষ্য করেছে। সেখানে চারজন নিহত হওয়ার খবর দিয়েছে রুশ কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে সারাতোভ অঞ্চলে অবস্থিত আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ তেল পরিশোধন কেন্দ্রে আঘাত হানার কথাও জানিয়েছে কিয়েভ।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রার আক্রমণ শুরু করার পর থেকে দুই দেশের মধ্যে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ থামেনি। একাধিকবার যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ শান্তির উদ্যোগ নিলেও যুদ্ধের সমাধান আসেনি। বরং পাল্টাপাল্টি হামলায় প্রাণহানি ও অবকাঠামো ধ্বংসের পরিমাণ প্রতিনিয়ত বাড়ছে।
চলমান সংঘাত ঘিরে ইউরোপসহ বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ বাড়ছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হওয়ার কারণে শুধু দুই দেশ নয়, বরং জ্বালানি বাজার ও বৈশ্বিক অর্থনীতিও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

Leave a comment