রাজধানীর মোহাম্মদপুরে পূর্ব শত্রুতার জেরে ভয়াবহ হামলার শিকার হয়েছেন বাবা-ছেলে। সন্ত্রাসীদের ধারালো অস্ত্রের বর্বরোচিত আঘাতে গুরুতর জখম হন তারা। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর ছেলে বাবুকে মৃত ঘোষণা করা হয়। গুরুতর অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন বাবা কাশেম।
সোমবার (২৪ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকা উদ্যান তিন নম্বর রোডের ‘ডি’ ব্লকে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়দের মতে, এলাকায় আগে থেকেই কাশেম ও তার প্রতিপক্ষের মধ্যে বিরোধ চলছিল। দিনশেষে সেই বিরোধই রক্তাক্ত সংঘর্ষের রূপ নেয়।
নিহত কাশেমের বোন আখতারী বেগম জানান, ঘটনার সূচনা হয় সন্ধ্যার দিকে। টাকা লেনদেনকে কেন্দ্র করে ঢাকা উদ্যান চার নম্বর রোডে কাশেমের সঙ্গে রাজীব নামের এক ব্যক্তির কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। বিষয়টি সমাধান না হওয়ায় উত্তেজনা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে রাজীব, সবুজ, রুবেল ও মোহনসহ আরও কয়েকজন কাশেমের তিন নম্বর রোডের বাড়ির সামনে এসে অবস্থান নেয়। তারা পরিকল্পিতভাবে দু’জনের ওপর হামলা করে। ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয় বাবা-ছেলেকে।স্থানীয়রা চিৎকার শুনে এগিয়ে এলে হামলাকারীরা দ্রুত সটকে পড়ে।
রক্তাক্ত অবস্থায় স্থানীয়রা কাশেম ও তার ছেলে বাবুকে উদ্ধার করে দ্রুত শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসকরা বাবুকে মৃত ঘোষণা করেন। চিকিৎসাধীন কাশেমের অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মোহাম্মদপুর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন। তিনি বলেন,“ঢাকা উদ্যান তিন নম্বর রোডে সন্ত্রাসীরা কাশেম ও তার ছেলে বাবুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। তাদের হাসপাতালে নেওয়ার পর ছেলে বাবু মারা যায়। হামলায় জড়িতদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু হয়েছে।” তিনি আরও বলেন, পুলিশ আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করছে এবং হামলাকারীদের শনাক্তকরণে প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে।
Leave a comment