ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের ফরিদাবাদে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক ও বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার ও রোববার (৮ ও ৯ নভেম্বর) দুই দিনে পরিচালিত অভিযানে মোট ২ হাজার ৯০০ কেজি বিস্ফোরক জব্দ করা হয়। সোমবার (১০ নভেম্বর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এ তথ্য জানিয়েছে।
পুলিশ জানায়, শনিবার ফরিদাবাদের একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ৩৫০ কেজি বিস্ফোরক, অ্যাসল্ট রাইফেল, পিস্তল ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়। পরদিন একই শহরের অন্য এক বাড়ি থেকে ২ হাজার ৫৬৩ কেজি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট, টাইমার, ওয়াকিটকি ও অন্যান্য বোমা তৈরির সরঞ্জাম জব্দ করা হয়।
উদ্ধারকৃত বিস্ফোরক দুটি বাড়িতেই মজুত করেছিলেন ড. মুজাম্মিল শাকিল, যিনি ফরিদাবাদের আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন চিকিৎসক। তার বাড়ি জম্মু-কাশ্মিরের পুলওয়ামা জেলায়। পুলিশ বলছে, তিনি ‘হেয়াইট কালার’ (Hayyat Caller) নামে একটি গোপন জঙ্গি নেটওয়ার্ক পরিচালনা করছিলেন, যা মূলত চিকিৎসক, প্রকৌশলী ও অন্যান্য পেশাজীবীদের মধ্যে সক্রিয় ছিল। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই নেটওয়ার্কটির মূল পৃষ্ঠপোষক পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী জইশ-ই-মোহাম্মদ (JeM) এবং আনসার গাজওয়াত উল হিন্দ।
পুলিশের দাবি, কিছুদিন আগে জম্মু-কাশ্মিরের শ্রীনগরে জইশ-ই-মোহাম্মদের সমর্থনে পোস্টার লাগানোর সময় গ্রেপ্তার হন আদিল আহমেদ রাথের, যিনি অনন্তনাগ মেডিকেল কলেজের একজন চিকিৎসক। তার দেওয়া তথ্য ও পরে ড. মুজাম্মিল শাকিলের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে নিরাপত্তা বাহিনী জম্মু-কাশ্মিরে অভিযান চালিয়ে আরও ৫ জনকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন— আরিফ নিসার দার, ইয়াসির-উল-আসরফ, মকসুদ আহমেদ দার, ইরফান আহমেদ ও জামির আহমেদ। পুলিশ বলছে, তারা দীর্ঘদিন ধরেদেশজুড়ে নাশকতার পরিকল্পনা করছিলেন। উদ্ধার হওয়া বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক ও সরঞ্জাম সেই পরিকল্পনারই অংশ ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সূত্র: এনডিটিভি
Leave a comment