ভারতের নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে নতুন করে অভিযোগ তুলেছে ক্ষমতাসীন বিজেপি। দলটির দাবি, ১৯৮০ সালের ভোটার তালিকায় কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধীর নাম ওঠে, অথচ তখন তিনি আইনি অর্থে ভারতের নাগরিক ছিলেন না। বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তালিকার একটি ছবি প্রকাশ করে বলেন, এটি প্রমাণ করে নির্বাচন কমিশন কংগ্রেসের সঙ্গে আঁতাত করে কাজ করেছে।
প্রকাশিত নথিতে দেখা যায়, নিউ দিল্লি লোকসভা আসনের সফদরজং রোড এলাকার ১৪৫ নম্বর পোলিং স্টেশনে ৩৮৮ নম্বর ভোটার হিসেবে সোনিয়া গান্ধীর নাম রয়েছে। একই তালিকায় ৩৮৫ নম্বরে ইন্দিরা গান্ধী, ৩৮৬ নম্বরে রাজীব গান্ধী, ৩৮৭ নম্বরে সঞ্জয় গান্ধী ও ৩৮৯ নম্বরে মানেকা গান্ধীর নাম ছিল। বিজেপির অভিযোগ, ১৯৬৮ সালে রাজীব গান্ধীর সঙ্গে বিয়ে করলেও সোনিয়া ১৯৮৩ সালের এপ্রিল মাসে ভারতীয় নাগরিকত্ব পান। অথচ তাঁর নাম ১৯৮০ সাল থেকে ভোটার তালিকায় ছিল এবং ১৯৮২ সাল পর্যন্ত তা বহাল ছিল।
অমিত মালব্য বলেন, ভোটার হতে হলে নাগরিক হওয়া জরুরি, যা এ ক্ষেত্রে লঙ্ঘন হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, ১৯৮৩ সালের ১ জানুয়ারির আগে নাগরিক হওয়া ব্যক্তিরাই ভোটার হতে পারেন, কিন্তু সোনিয়ার নাম সেই বছরের এপ্রিলের আগে তালিকায় ওঠে।
বিজেপির এই দাবি এমন সময় সামনে এলো, যখন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী নির্বাচন কমিশনকে শাসক দলের হয়ে ‘ভোট চুরির’ অভিযোগে কাঠগড়ায় তুলেছেন। পাল্টা কংগ্রেসের সিনিয়র নেতা তারিক আনোয়ার বলেন, সোনিয়া গান্ধী কোনো দিন ভোটার তালিকায় নাম তোলার আবেদন করেননি, এটি তৎকালীন নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগেই হয়েছে। তাঁর মতে, তখন কমিশন স্বাধীনভাবে কাজ করত, আজ তা বিজেপির প্রভাবে পরিচালিত হচ্ছে।
নির্বাচন কমিশন এখনও রাহুলের আনা অভিযোগের বিষয়ে কোনো তদন্ত শুরু করেনি, বরং তাঁকে হলফনামা দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ জানাতে বলেছে। অন্যদিকে বিজেপি রাহুলের বক্তব্যকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচার বলে দাবি করছে, আর বিরোধীরা বলছে, কমিশন তার স্বাধীনতা হারিয়েছে।
Leave a comment