লেখক ও অ্যাক্টিভিস্ট ফাহাম আব্দুস সালাম বলেছেন, বাংলাদেশের প্রেসিডেন্টের পদটি এক্সিকিউটিভ ক্ষমতার জন্য উপযুক্ত নয়, এবং প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা প্রেসিডেন্টের হাতে তুলে দেওয়া বিপজ্জনক হতে পারে। সম্প্রতি একটি টেলিভিশন টকশোতে অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ফাহাম স্পষ্ট ভাষায় বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর যে ক্ষমতা, সেটা নিয়ে প্রেসিডেন্টকে দেওয়ার পক্ষে আমি না। কারণ প্রেসিডেন্টের কোন কাজ নাই। তাকে যদি আপনি ক্ষমতা দেন, সারাদিন সে ষড়যন্ত্র করবে।” তিনি মনে করেন, প্রেসিডেন্টের পদটি মূলত আলংকারিক এবং নির্বাহী ক্ষমতা দেওয়ার মাধ্যমে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হতে পারে।
জাতীয় সাংবিধানিক সমন্বয় কাউন্সিল (এনসিসি)-এর প্রস্তাবিত কাঠামো নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে ফাহাম বলেন, “ওখানে তো মোট নয়জন আছেন। দুইজন সরকারের, দুইজন বিরোধী দলের। এর মানে, আপনি শুরুতেই এন্টাগনিস্টিক পজিশন তৈরি করছেন।” তিনি এই কাঠামোর কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেন এবং বলেন, এটি শেষ পর্যন্ত “কিং মেকার”-এর ভূমিকা তৈরি করবে প্রধান বিচারপতির জন্য।
তিনি আরও বলেন, কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা সীমিত করা যেতে পারে, তবে এর জন্য একটি ভারসাম্যপূর্ণ প্রক্রিয়া থাকা জরুরি। “নির্বাচন কমিশনার, প্রধান বিচারপতি এবং মানবাধিকার কমিশনার—এই তিনটি পদের ক্ষেত্রে সকলের মত নেওয়া যেতে পারে, এনসিসি ছাড়াও সংসদীয় কমিটির মাধ্যমে গোপন ব্যালটে সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব।”
ফাহাম আব্দুস সালাম তার বক্তব্যে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ঐতিহ্য ও প্রশাসনিক কাঠামোর প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “কাউকে আপনি যদি রেসপন্সিবিলিটি দেন, তাকে অথরিটি দিতে হবে। দুটার একটা দেওয়া যাবে না। প্রেসিডেন্টকে যদি কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণের দায়িত্ব দেওয়া হয়, তাহলে তাকে ঘিরে বলয় তৈরি হবে—এটা বাংলাদেশের ইতিহাসে বারবার দেখা গেছে।”
Leave a comment