নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে ফরিদা ইয়াছমিন (২৫) নামে এক গৃহবধূ প্রবাসী স্বামীকে ভিডিও কলে রেখে আত্মহত্যা করেছেন। রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের শফিক হুজুরের ভাড়া বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
ফরিদা ইয়াছমিন নোয়াখালী সদর উপজেলার নোয়াখালী ইউনিয়নের মো. দুলাল মিয়ার মেয়ে এবং যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী নুর নবীর স্ত্রী।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ফরিদা গত সাত মাস ধরে শফিক হুজুরের ভাড়া বাসায় থাকতেন। শনিবার রাতে পারিবারিক কলহের পর তিনি বাসা থেকে বের হতে চাইলে স্বামী ভিডিও কলে তাকে বাধা দেন। এর কিছুক্ষণ পর বোরখা পরা অবস্থায় ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেন ফরিদা।
বাড়ির মালিক শফিক উল্লাহ বলেন, “ফরিদা পর্দাশীল নারী ছিলেন। সাত মাসে একবারও আমি তার মুখ দেখিনি। কেবল ভাড়া বা বিল দেওয়ার সময় আড়াল থেকে কথা হতো। প্রায়ই স্বামীর সঙ্গে তার ঝগড়া শোনা যেত। এমনকি তার শোবার ঘরেও সিসি ক্যামেরা লাগানো ছিল।” সকালে দরজা না খোলায় বাড়ির মালিক বিষয়টি পুলিশকে জানান। পরে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহতের ভাই মাসুদ ও রাশেদ রানা অভিযোগ করেন, “আমাদের বোনকে নুর নবী সবসময় নজরবন্দি করে রেখেছিল। ভিডিও কলে ঘটনা দেখেও সে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। সে চেয়েছিল বোন মারা যাক। আমরা এই ঘাতকের ফাঁসি চাই।”
সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মোরশেদ আলম বলেন, “আমরা ঘটনাস্থল থেকে সিসি ক্যামেরা ও মোবাইল ফোন জব্দ করেছি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, পারিবারিক কলহের জেরেই এ আত্মহত্যা ঘটেছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
Leave a comment