কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ হামলার দায় অস্বীকার করেছে বিদ্রোহী সংগঠন দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (টিআরএফ)। প্রথমে হামলার কিছু সময় পর এক অজ্ঞাত পোস্টের মাধ্যমে দায় স্বীকার করলেও, গতকাল শুক্রবার এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে সংগঠনটি দাবি করেছে, তাদের নাম জড়িয়ে এ ধরনের প্রচার পরিকল্পিতভাবে ছড়ানো হয়েছে এবং এর জন্য ভারতের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে দায়ী করা হয়েছে।
টিআরএফ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক পোস্টে বলেছে, “পেহেলগামে হামলার কিছুক্ষণের মধ্যে আমাদের ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম থেকে একটি অনুমোদনহীন বার্তা প্রকাশিত হয়। অভ্যন্তরীণ তদন্তে আমরা নিশ্চিত হয়েছি যে এটি সমন্বিত সাইবার অনুপ্রবেশের ফল, যা ভারতের পরিচিত ডিজিটাল যুদ্ধ কৌশলের একটি অংশ।” সংগঠনটি আরও অভিযোগ করে, এটি কাশ্মীরি প্রতিরোধ আন্দোলনকে কলঙ্কিত করতে করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার কাশ্মীরের বৈসারানে সশস্ত্র বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন পর্যটক নিহত হন, যাদের মধ্যে দুজন বিদেশি নাগরিকও ছিলেন। সরকারি সূত্রে জানা গেছে, হামলায় আরও অনেক মানুষ আহত হয়েছেন এবং তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সরকার এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে হতাহতের চূড়ান্ত সংখ্যা প্রকাশ করেনি।
এই মর্মান্তিক ঘটনার পর ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে পাকিস্তানি নাগরিকদের ভিসা বাতিল এবং ভারত থেকে তাদের দেশে ফেরত পাঠানো। গতকাল আটারি-ওয়াঘা সীমান্ত দিয়ে ১৯১ জন পাকিস্তানি ভারতে অবস্থানরত অবস্থায় দেশে ফিরেছেন, আর ঘটনার পর থেকে মোট ২৮৭ জন পাকিস্তানি নাগরিক ভারতে থেকে ফিরে গেছেন।
পেহেলগাম হামলা নিয়ে ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা আরও বেড়েছে এবং দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক পরিস্থিতি এখনো বেশ উত্তপ্ত রয়েছে। ভারতের অভ্যন্তরেও নিরাপত্তা বাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্কতায় রাখা হয়েছে।
Leave a comment