কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলায় এক বিধবা নারীর রহস্যজনক মৃত্যু স্থানীয়দের মধ্যে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। সোমবার রাত ৯টার দিকে বারবাকিয়া ইউনিয়নের ভারুয়াখালী গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত নারীর নাম ফাতেমা বেগম (৫৮)। তিনি ওই এলাকার মৃত নুরুচ্ছফার স্ত্রী। দীর্ঘদিন ধরে একা একটি কুঁড়ে ঘরে বসবাস করছিলেন তিনি। জীবিকা নির্বাহের জন্য ভিক্ষাবৃত্তির পাশাপাশি স্থানীয়দের ঝাঁরফুঁক ও পানিপড়া দিতেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, সোমবার মাগরিবের পর এক নারী পানিপড়া নিতে ফাতেমার বাড়ি যান। দরজা বন্ধ পেয়ে তিনি ফিরে আসেন। পরে রাতের দিকে একই নারী তার স্বামীকে নিয়ে আবার গেলে তখনও দরজা বন্ধ দেখতে পান। সন্দেহ হলে তারা দরজা খুলে ভেতরে প্রবেশ করেন এবং ঘরের ভেতর উপুড় হয়ে থাকা ফাতেমার নিথর দেহ দেখতে পান। সঙ্গে সঙ্গে তারা প্রতিবেশীদের খবর দেন।
পরে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দিলে পেকুয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
গ্রামের বাসিন্দাদের ধারণা, ফাতেমাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। তাদের মতে, চুরি করার উদ্দেশ্যে বাড়িতে ঢুকেই তাকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে।
এর পেছনে প্রমাণ হিসেবে তারা উল্লেখ করেন, প্রায় এক মাস আগে ফাতেমার ঘর থেকে প্রায় ১০ হাজার টাকা চুরি হয়েছিল। এ ঘটনায় স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে সালিশ হয় এবং সেখান থেকে ৬ হাজার টাকা উদ্ধার করে ফাতেমাকে ফেরত দেওয়া হয়েছিল। স্থানীয় ইউপি সদস্য মুহাম্মদ ইউনুস বলেন, “আগের চুরির ঘটনাও আমরা মীমাংসা করেছিলাম। এবার হয়তো চুরি করতে এসে বাধা দেওয়ায় তাকে খুন করা হয়েছে।
পেকুয়া থানার এসআই উগ্যজাই মারমা ঘটনাস্থল থেকে সংগ্রহ করা সুরতহাল প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন, মরদেহের গায়ে সুস্পষ্ট আঘাতের চিহ্ন না থাকলেও কানের পাশে এবং গলার নিচে রক্ত জমাট দেখা গেছে। এ বিষয়ে পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ সিরাজুল মোস্তফা জানান, “মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। পাশাপাশি ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত ও আটক করতে পুলিশ কাজ করছে।”
Leave a comment