এশিয়া কাপে পাকিস্তান–সংযুক্ত আরব আমিরাত ম্যাচ শুরুর আগেই ছিল নানা বিতর্ক। ভারতের বিপক্ষে হাত না মেলানো ঘটনাকে কেন্দ্র করে ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফটকে অপসারণের দাবি তোলে পাকিস্তান। শেষ পর্যন্ত পাইক্রফট ক্ষমা চাইলে খেলা শুরু হয়, তবে নির্ধারিত সময়ের এক ঘণ্টা পরে। কিন্তু নাটক এখানেই শেষ হয়নি। ম্যাচ চলাকালীনই চোট পেয়ে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন অন ফিল্ড আম্পায়ার রুচিরা পল্লিয়াগুরুগে।
ঘটনাটি ঘটে আমিরাতের ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে। পাকিস্তানের উইকেটকিপার মোহাম্মদ হারিস বল ফেরত ছুঁড়তে গিয়ে লক্ষ্যভ্রষ্ট হন। তাঁর থ্রো গিয়ে সরাসরি আঘাত হানে পল্লিয়াগুরুগের মাথায়, কানের ঠিক পেছনে। সঙ্গে সঙ্গেই খেলা থেমে যায়, আম্পায়ার ব্যথায় জায়গাটা চেপে ধরেন। মাঠে ছুটে আসেন পাকিস্তানি খেলোয়াড়রা ও দলের ফিজিও। প্রাথমিক চিকিৎসার পরও ‘কনকাশন’ সতর্কতায় তাঁকে মাঠ ছাড়তে হয়। এরপর চতুর্থ আম্পায়ার বাংলাদেশের গাজী সোহেল দায়িত্ব নেন অন ফিল্ড আম্পায়ার হিসেবে।
শ্রীলঙ্কান আম্পায়ার পল্লিয়াগুরুগে পরে জানান, পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারত যদি কোনো ফিল্ডারের শক্তিশালী থ্রো সরাসরি আঘাত করত। ভাগ্যক্রমে তিনি গুরুতর বিপদ এড়াতে পেরেছেন।
আলোচিত এই ম্যাচে আফ্রিদির অলরাউন্ড নৈপুণ্যে আমিরাতকে ৪১ রানে হারিয়ে পাকিস্তান সুপার ফোরে জায়গা করে নেয়। ভারতও একই গ্রুপ থেকে সেরা চারে উঠেছে। ফলে ২১ সেপ্টেম্বর আবারও ভারত–পাকিস্তান মহারণ দেখার অপেক্ষায় ক্রিকেটপ্রেমীরা।
Leave a comment