নেপালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষেধাজ্ঞা ও দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলন ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। মঙ্গলবার রাজধানী কাঠমান্ডুর রাস্তায় দেশটির অর্থমন্ত্রী বিষ্ণু প্রসাদ পাউডেলকে ধাওয়া করে মারধর করেছেন বিক্ষোভকারীরা।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, ৬৫ বছর বয়সী পাউডেল আতঙ্কে দৌড়াচ্ছেন, আর পেছনে শতাধিক বিক্ষোভকারী তাকে ধাওয়া দিচ্ছেন। হঠাৎ এক তরুণ বিক্ষোভকারী বিপরীত দিক থেকে এসে লাফিয়ে অর্থমন্ত্রীর গায়ে লাথি মারেন। তিনি ভারসাম্য হারিয়ে দেয়ালের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে মাটিতে পড়ে যান। মুহূর্তের মধ্যে কিল-ঘুষিও খেতে থাকেন। তবে দ্রুত উঠে আবার দৌড়াতে থাকেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি পদত্যাগ করলেও আন্দোলন থামেনি। বিক্ষোভকারীরা পুরো সরকারের পতন দাবি করছেন। এর আগে সোমবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে অন্তত ১৯ বিক্ষোভকারী নিহত ও শত শত মানুষ আহত হন।
কাঠমান্ডু পুলিশের মুখপাত্র শেখর খানাল এএফপিকে জানান, কারফিউ উপেক্ষা করে শহরের বিভিন্ন স্থানে মিছিল হচ্ছে। অনেক এলাকায় অগ্নিসংযোগ ও হামলার ঘটনাও ঘটেছে।
ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপসহ ২৬টি সামাজিক মাধ্যম বন্ধের সিদ্ধান্ত এবং সরকারের দুর্নীতি বিরোধী পদক্ষেপ না নেওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন তরুণ প্রজন্ম। আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন জেন-জি প্রজন্মের তরুণ-তরুণীরা। প্রধানমন্ত্রীর বাড়িতে আগুন দেওয়া এবং অর্থমন্ত্রীর ওপর হামলার ঘটনা প্রমাণ করছে, বিক্ষোভ এখন আর কেবল রাজনৈতিক চাপ নয়, বরং জনরোষে পরিণত হয়েছে।
Leave a comment