নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার একটি খাল থেকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির কঙ্কাল উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (১৮ অক্টোবর) রাতে উপজেলার নলদী ইউনিয়নের হলদা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। কচুরিপানার নিচে লুকানো অবস্থায় কঙ্কালটি প্রথমে স্থানীয়রা দেখতে পান।
পুলিশ জানিয়েছে, কঙ্কালটি সম্পূর্ণভাবে গলে গিয়েছে এবং পোশাক বা অন্যান্য শনাক্তযোগ্য উপকরণ তেমন কিছু পাওয়া যায়নি। পরিচয় নিশ্চিত করতে ফরেনসিক পরীক্ষার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানা গেছে, শনিবার সন্ধ্যার দিকে গ্রামের কয়েকজন যুবক হলদা খালের পাশে হাঁটতে গিয়ে কচুরিপানার ভেতর অস্বাভাবিক কিছু দেখতে পান। কাছে গিয়ে তারা দেখতে পান মানুষের কঙ্কালের মতো কিছু রয়েছে। পরে তারা দ্রুত স্থানীয় ইউপি সদস্য ও থানায় খবর দেন। খবর পেয়ে রাতেই লোহাগড়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে কঙ্কালটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, “হলদা গ্রামের খাল থেকে অজ্ঞাত একজন মানুষের কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়েছে। কঙ্কালটি বেশ পুরনো বলে মনে হচ্ছে। এর পরিচয় শনাক্ত এবং আইনগত প্রক্রিয়া সম্পন্নের কাজ চলছে।”
তিনি আরও জানান, কঙ্কালটি কতদিন আগের এবং কীভাবে সেখানে এসেছে—তা নির্ণয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট) টিমও ঘটনাস্থল পরিদর্শনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এদিকে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে কঙ্কাল উদ্ধারের খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। অনেকে ধারণা করছেন, এটি হয়তো কোনো নিখোঁজ ব্যক্তির কঙ্কাল হতে পারে। তবে এখনই এ বিষয়ে নিশ্চিত কিছু বলতে পারছে না কেউ।
হলদা গ্রামের এক প্রবীণ বাসিন্দা আব্দুল হালিম বলেন, “আমরা খালে প্রায়ই মাছ ধরি বা গবাদিপশু গোসল করাতে যাই। কখনো এমন কিছু চোখে পড়েনি। কঙ্কালটি দেখে সবাই হতভম্ব হয়ে যায়।”
পুলিশ জানিয়েছে, কঙ্কালটি নড়াইল সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে। সেখান থেকে ময়নাতদন্তের পর ডিএনএ পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে। লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বলেন, “এটি সংবেদনশীল একটি বিষয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছে। কঙ্কালের পরিচয় শনাক্ত না হওয়া পর্যন্ত কোনো অনুমান থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানানো হচ্ছে।” এ ঘটনায় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ।
Leave a comment