বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, দলীয় প্রেসিডেন্ট তারেক রহমান চব্বিশের জুলাই গণঅভ্যুত্থানে দেশের তরুণ প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করে রাজপথে নামিয়েছিলেন। । বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানের শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে রিজভী এসব মন্তব্য করেন। এ সময় বরগুনা ও পিরোজপুর জেলা বিএনপির নতুন কমিটির নেতারা, কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
রিজভী বলেন, খালেদা জিয়াকে কারাগারে নেওয়ার পরও তারেক রহমান দেশীয় রাজনীতি ও প্রবাসে থেকে সংগঠনকে সুসংগঠিত রাখতে সক্ষম হয়েছেন। তিনি যোগ করেন, “তারেক শুধু অনুপ্রেরণাই যোগাইনি ; জাতীয়তাবাদী পতাকা হাতে ধরে তরুণদের রাজপথে নামাতে নেতৃত্ব দিয়েছেন—এ দৃশ্য ইতিহাসে সোনালি হরফে লেখা থাকবে।”
রিজভী বলেন, গত দেড় দশক ধরে বিএনপি গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম চালাচ্ছে এবং এই সংগ্রাম-বিধান চালাচ্ছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তিনি অভিযোগ করেন, আগের সরকার তাকে নির্যাতন ও কারাবাসের মাধ্যমে দমন করার চেষ্টা করেছে, কিন্তু খালেদা জিয়ার আপসহীন মনোবলই তাকে সাফল্যশীল করেছে। রিজভী বলেন, “তার নেতৃত্বের প্রতি আমাদের আনুগত্য অবিচল।”
একই সঙ্গে রিজভী বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের বিরুদ্ধে যাওয়া নানা গুরুতর অভিযোগও পুনরায় তুলে ধরেন—বিশেষ করে রাষ্ট্রীয় ও দলের শীর্ষ পর্যায়ে সম্পদ সঞ্চয়ের প্রসঙ্গ। তিনি দাবি করেন, “চেয়ারম্যানে থাকা ব্যক্তিবর্গ ও তাদের নিকটাত্মীয়দের বিদেশে বিরাট সম্পদ গঠনের খবর রিপোর্টে এসেছে; নিউইয়র্ক, লন্ডন, দুবাই, কানাডা, অটাওয়া ও সিডনিতে তাদের সম্পদের সমাহার তৈরি হয়েছে।”
রিজভী আরও বলেন, “যারা ২৮ লাখ কোটি টাকার মতো অঙ্ক পাচার করেছে, তারা তেমন দুঃশাসন টিকিয়ে রেখেছে—এই ধরনের ষড়যন্ত্র এখনো চলমান।”
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সম্পর্কে রিজভী কঠোর সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, আদালত চুড়ান্তভাবে দুদককে ২৪ হাজার ৮২৪ কোটি টাকা উদ্ধারের নির্দেশ দিয়েছে, কিন্তু সংস্থা কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে।
রিজভী শহীদদের ত্যাগের কথা উল্লেখ করে বলেন, “ওয়াসিম আকরাম, আবু সাঈদ, মুগ্ধের রক্ত বৃথা যাবে না।” তিনি শহীদদের আত্মত্যাগকে দেশের গণতান্ত্রিক লড়াইয়ে প্রেরণার উৎস হিসেবে আখ্যায়িত করেন। রিজভী আরও বলেন, “গত ১৬ বছরে আমাদের সংগ্রামের লক্ষ্য একটাই—গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার। আমরা ধৈর্য ধরে সেই লক্ষ্যে এগোচ্ছি।”
Leave a comment