বলিউড সুপারস্টার সালমান খান আবারও খোলামেলা মন্তব্য করে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। ‘বিগ বস ১৯’-এর মঞ্চে প্রতিযোগীদের শাসন করতে গিয়ে তিনি এমন এক মন্তব্য করেন, যা সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে উদ্দেশ করে বলা হয়েছে বলে মনে করছেন দর্শকরা।
শনিবার রাতে সম্প্রচারিত পর্বে প্রতিযোগী ফারহান ভাটকে ভর্ৎসনা করার সময় সালমান বলেন, “যে সবচেয়ে বেশি ঝামেলা পাকাচ্ছে, সে নিজেই আবার শান্তিতে পুরস্কার (নোবেল) চাইছে।” যদিও কোনো নাম উল্লেখ করেননি, কিন্তু আন্তর্জাতিক রাজনীতির সাম্প্রতিক প্রেক্ষাপটে ট্রাম্পের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে মন্তব্যটি মিলে যায়।
গত কয়েক মাস ধরে ট্রাম্প ভারত–পাকিস্তান বিরোধ এবং ইসরায়েল–ফিলিস্তিন সংঘাত মীমাংসায় নিজের ভূমিকার দাবি করেছেন। তবে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো তার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। তবুও ট্রাম্প সমর্থকেরা তাকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করার দাবি তুলেছেন। সালমানের মন্তব্য সেই বিতর্ককে নতুন মাত্রা দিয়েছে।
পর্বটি প্রচারের পর মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায় সালমানের মন্তব্যের ভিডিও। টুইটার ও রেডিটে ভক্তরা নানা প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন। কেউ লিখেছেন, “ভাইজান আসলেই আন্তর্জাতিক খবর রাখেন নাকি!” অন্যজন ঠাট্টা করে বলেছেন, “এবার দেখি ট্রাম্প কী জবাব দেন।”
শুধু ট্রাম্প প্রসঙ্গই নয়, সালমানের খোলামেলা কথাবার্তা আলোচনার জন্ম দিয়েছে। প্রতিযোগী ও গায়ক আমাল মালিকের অলস আচরণ নিয়েও তিনি সরাসরি কটাক্ষ করেছেন। এক প্রোমোতে সালমানকে বলতে শোনা যায়, “শো-এর বাইরে আপনার যে ইমেজ ছিল, সেটি এখন আরও খারাপ হতে চলেছে।” দিনের বেলা ঘুমানোর অভ্যাসের কারণে আমাল ইতিমধ্যেই দর্শক ও নির্মাতাদের বিরক্তির কারণ হয়েছেন।
টেলিভিশনের পাশাপাশি সিনেমার পর্দাতেও ব্যস্ত সময় পার করছেন সালমান খান। ‘বিগ বস’ শুটিংয়ের ফাঁকেই তিনি অংশ নিচ্ছেন নতুন ছবি “ব্যাটল অফ গালওয়ান”–এর কাজে। পরিচালক অপূর্ব লাখিয়ার এ যুদ্ধভিত্তিক ছবিতে গালওয়ান উপত্যকায় ভারত–চীন সেনাদের সংঘর্ষের কাহিনি তুলে ধরা হবে।
বিশ্লেষকদের মতে, রিয়েলিটি শোর মঞ্চে রাজনৈতিক ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য এবং একইসঙ্গে বড়পর্দায় বাস্তব যুদ্ধের গল্পে অভিনয়—দুই প্রেক্ষাপটেই সালমান খান নিজেকে বহুমাত্রিকভাবে হাজির করছেন। এতে তার জনপ্রিয়তা যেমন বাড়ছে, সমালোচনাও কম আসছে না।
Leave a comment