৯ হাজার জেলে পরিবার অলস সময় কাটাচ্ছেন চাঁদপুরের মতলব উত্তরে । মুসলমান জেলেদের মাঝেও নেই ঈদের আমেজ।
মতলব উত্তর উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ১৪টি ইউনিয়নে ৯ হাজার ২২ জন নিবন্ধিত জেলে রয়েছে। এর মধ্যে ৭ হাজার ৪৬৫ জন জেলে ৪০ কেজি করে চাল পেয়েছে।
১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত সরকারের অভয় আশ্রম ও জাটকা রক্ষা অভিযান চলমান থাকায় নদীতে সব ধরনের মাছ ধরা নিষেধ রয়েছে। বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় জেলেরা অলস সময় কাটাচ্ছে। অন্যদিকে মুসলমান জেলেদের ঘরে নেই ঈদের আমেজ।
মতলব উত্তরের ষাটনল, একলাশপুর, দশানী, মোহনপুর, আমিরাবাদ, নন্দলালপুর, সিপাহী কান্দি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, মেঘনা ও ধনা গোদা নদীতে সারিবদ্ধভাবে নৌকাগুলো বাধা রয়েছে।
ষাটনলের জ্যোতিষ চন্দ্র বর্মন (৫৮) জানান তাদের পরিবারের সদস্য সংখ্যা দুইজন। অন্যের নৌকায় কাজ করেন। দুইবার ৩০ কেজি করে চাল পেয়েছেন। নদীতে মাছ ধরতে না পারায়
কিস্তি দিতে হিমশিম খাচ্ছেন। তারা অভিযোগ করেন এনজিওর কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে না পারায় এনজিও কর্মীরা এসে তাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছেন।
জসিম উদ্দিন সরকার ( ষাটনল মৎস্য আড়ৎ সমিতির সাধারণ সম্পাদক ) বলেন, অভয়াশ্রম ও অভিযান চলমান থাকায় এখন জেলেরা নদীতে মাছ ধরতে যায় না। ফলে আড়তে কোনো মাছ আসে না। তাদের আড়তে ৫০ জন জেলে কাজ করে। মাঝে মাঝে গুঁড়া চেউয়া ছাড়া আর কোনো মাছ পাই না।
মতলব উত্তর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা বিজন কুমার দাস জানান, মতলব উত্তরে ৯ হাজার ২২ জন নিবন্ধিত জেলে রয়েছে। তন্মধ্যে ৭ হাজার ৪৬৫ জন জেলে ৪০ কেজি করে দুইবার চাল পেয়েছে। অবশিষ্ট জেলেদের বরাদ্দ আসলে তারাও পাবে।
Leave a comment