বাংলাদেশ থেকে পরিচালিত একটি আন্তর্জাতিক পর্নোগ্রাফি ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিডিও প্রকাশের অভিযোগে বান্দরবান থেকে গ্রেপ্তার করা সেই বাংলাদেশি যুগল সম্পর্কে নতুন তথ্য পাওয়া গেছে।
তাদের জাতীয় পরিচয়পত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী: ওই নারী (২৮ বছর) মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার বাসিন্দা। তবে সেটি তার প্রথম স্বামীর বাড়ি, যিনি পেশায় জেলে। তার শ্বশুর জানিয়েছেন, তিনি আট বছর আগে বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। তার বাবার বাড়ি একই উপজেলার অন্য গ্রামে।
অন্যদিকে পুরুষ সদস্য চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেছেন। স্থানীয়রা তাকে ‘অন্ধকার জগতের মানুষ’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন এবং তার পরিবারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগ আছে। প্রতিবেশী মো. ফারুক জানিয়েছেন, পরিবারটি এলাকার মধ্যে ‘অপরাধী পরিবার’ হিসেবে পরিচিত।
দ্য ডিসেন্ট এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুগলটি বাংলাদেশে বসেই ভিডিও ধারণ, সম্পাদনা ও আপলোড করতেন এবং এর মাধ্যমে বিপুল অর্থ উপার্জন করছিলেন। তারা কেবল অপরাধই করছেন না, বরং অন্যদেরও এই পথে যুক্ত হতে উৎসাহিত করছিলেন।
বাংলাদেশে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১২ অনুযায়ী, এটি একটি ফৌজদারি অপরাধ। সিআইডি জানিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে তথ্য প্রযুক্তি আইন ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলার প্রক্রিয়া চলছে এবং গ্রেপ্তারের পর বিস্তারিত তথ্য পরে প্রকাশ করা হবে।
Leave a comment