গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় একদিনে অন্তত আরও ৬৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) ভোর থেকে গাজার উত্তরাঞ্চলে এই হামলা শুরু হয় এবং দিনভর একাধিক আবাসিক ভবন, আশ্রয়কেন্দ্র ও বাজার এলাকায় আঘাত হানে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, চলমান যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত মোট ৬৪ হাজার ৩৬৮ জন ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ১ লাখ ৬২ হাজার ৩৬৭ জন। স্থানীয় সূত্রগুলো বলছে, এখনো হাজার হাজার মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে আছেন।
স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানান, নিহতদের মধ্যে নারী, শিশু এবং সাহায্যপ্রার্থী সাধারণ মানুষও রয়েছেন। হাসপাতালে জায়গা না থাকায় অনেক আহতকে সড়কের ধারে চিকিৎসা দিতে হচ্ছে। খাদ্য, পানি ও ওষুধের সংকট পরিস্থিতিকে আরও ভয়াবহ করে তুলেছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি সশস্ত্র সংগঠন হামাস ইসরায়েলে আকস্মিক আক্রমণ চালায়। ওই ঘটনায় ১ হাজার ১৩৯ জন নিহত হন এবং প্রায় ২০০ জনকে বন্দি করে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর থেকেই গাজায় তীব্র হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল।
ইসরায়েল গত ১৮ মার্চ সাময়িক যুদ্ধবিরতি ভেঙে আবারও পূর্ণমাত্রায় গাজায় অভিযান শুরু করে। এরপর থেকে অন্তত ১১ হাজার ৭৬৮ জন নিহত এবং ৪৯ হাজার ৯৬৪ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
এর আগে, গত নভেম্বর মাসে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। একই সঙ্গে ইসরায়েলের অভিযানের কারণে দেশটি বর্তমানে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) গণহত্যার মামলার মুখোমুখি।
মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, চলমান সংঘাতকে ‘আধুনিক ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়গুলোর একটি’ হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে।
সূত্র: আল জাজিরা
Leave a comment