গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ব্যাপক প্রাণহানি ও দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতির মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকা সরকারের প্রতি দেশটির নাগরিক ও অধিকারকর্মীদের দাবি আরও জোরালো হয়েছে—ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন এবং ইসরায়েলি কূটনীতিকদের বহিষ্কার করতে হবে।
অধিকারকর্মীরা বলছেন, ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক রাখা মানে চলমান যুদ্ধে সহায়তা করা। লেখক জুকিসওয়া ওয়ানার মনে করিয়ে দেন, দক্ষিণ আফ্রিকা আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যা মামলা করলেও ইসরায়েল পশ্চিমা সমর্থনে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। তাঁর মতে, নাগরিক হিসেবে অন্তত সরকারের কাছে দাবি জানানো উচিত যে গণহত্যাকারী রাষ্ট্রের সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্ক রাখা যাবে না।
২০১৮ সাল থেকে দক্ষিণ আফ্রিকায় কোনো ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত না থাকলেও সম্পর্ক সম্পূর্ণ ছিন্ন হয়নি। ২০২৩ সালের নভেম্বরে পার্লামেন্টে সম্পর্ক ছিন্নের প্রস্তাব পাস হলেও প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসার সরকার তা কার্যকর করেনি, যা জনগণের ক্ষোভ বাড়িয়েছে।
চলতি সপ্তাহে প্যালেস্টাইন সলিডারিটি ক্যাম্পেইন একটি পিটিশনে কয়েক হাজার স্বাক্ষর সংগ্রহ করে ইসরায়েলি দূতাবাস বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে। পাশাপাশি ডারবানে সম্ভাব্য অস্ত্রবাহী জাহাজ আটকানোর দাবিতে স্থানীয়রা পুলিশ ও কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে সতর্কতা জারি করেন।
অধিকারকর্মীদের মতে, দক্ষিণ আফ্রিকাকে বলিভিয়া ও বেলিজের মতো সরাসরি সম্পর্ক ছিন্ন করে ফিলিস্তিনি গণহত্যার বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান নিতে হবে।
Leave a comment