খুলনা নগরীর সোনাডাঙ্গা থানা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক কাউন্সিলর হাফিজুর রহমান মনিরের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টা ও যৌন নির্যাতনের অভিযোগ তুলেছেন তারই ছোট ভাইয়ের স্ত্রী।
আজ রোববার খুলনা প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী জানান, এ ঘটনার বিচার চেয়ে তিনি আদালতে মামলার আবেদন করেছেন। আদালত পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিলেও এক মাসেও তদন্ত শুরু হয়নি বলে অভিযোগ করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মনির ভুক্তভোগীর সৎ ভাশুর। সম্প্রতি তার স্ত্রী মারা যাওয়ার পর থেকেই তিনি ছোট ভাইয়ের স্ত্রীর প্রতি কুনজর দেন। ভুক্তভোগীর স্বামী ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত, আর তিনি দুই সন্তান নিয়ে খুলনায় বসবাস করছেন। এই সুযোগে মনির তাকে কুপ্রস্তাব দিতে থাকেন এবং রাজি না হওয়ায় নানা রকম হুমকি দেন।
ভুক্তভোগী বলেন, “১২ ফেব্রুয়ারি দুপুরে আমি গোসলের প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম, তখন হঠাৎ করে মনির আমার শোবার ঘরে ঢুকে ধর্ষণের চেষ্টা চালান। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে তিনি আমাকে কিল-ঘুষি মেরে আহত করেন। আমার ছোট ছেলে এসে পড়লে তিনি পালিয়ে যান। পরে আমি থানায় দু’বার গিয়েও কোনো মামলা দায়ের করতে পারিনি।”
তিনি আরও জানান, পরে যৌথ বাহিনীর ক্যাম্পে গিয়ে পরামর্শ নেন এবং ১৯ ফেব্রুয়ারি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি মনিরের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মনির। তিনি বলেন, “আমার ছোট ভাইয়ের স্ত্রী একজন টিকটকার। স্বামীর অনুপস্থিতিতে টিকটক করে বেড়ানোয় পরিবারে সম্মানহানি হচ্ছিল। আমি এতে বাধা দেওয়ায় তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে মিথ্যা অভিযোগ এনেছেন।”
এ বিষয়ে পিবিআই খুলনার পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, “তদন্ত শুরু করা হয়েছে এবং দ্রুতই আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।”
Leave a comment