রংপুরের ঐতিহ্যবাহী কারমাইকেল কলেজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টার দিকে কলেজের শহিদ জননী জাহানারা ইমাম ছাত্রীনিবাসে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা খবর পাওয়ার প্রায় দেড় ঘণ্টা পর ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। সৌভাগ্যক্রমে এ ঘটনায় কোনো শিক্ষার্থী হতাহত হননি। তবে ঘটনায় শিক্ষার্থীরা আতঙ্কিত হয়ে রাতেই বিক্ষোভে নামে এবং কলেজ প্রশাসনের অবহেলার অভিযোগ তোলে।
প্রাথমিকভাবে ফায়ার সার্ভিস ও কলেজ প্রশাসন জানিয়েছে, ছাত্রীনিবাসের পুরোনো বৈদ্যুতিক তার ও ওভারলোডের কারণে শর্টসার্কিট হয়ে আগুন লাগে। দ্রুত ছড়িয়ে পড়া আগুনে হোস্টেলের বিভিন্ন স্থানে ক্ষয়ক্ষতি হলেও শিক্ষার্থীরা সময়মতো বেরিয়ে আসায় বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়ানো গেছে।
রাত সাড়ে ১১টার দিকে শিক্ষার্থীরা হলের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন। তাদের অভিযোগ, হোস্টেলের বৈদ্যুতিক লাইন দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকলেও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এক ছাত্রী বলেন, “প্রতিনিয়ত স্পার্ক হতো, আমরা বারবার অভিযোগ দিয়েছি। কিন্তু প্রশাসন গুরুত্ব দেয়নি।
বিক্ষোভের খবর পেয়ে কলেজের অধ্যক্ষ মো. মোস্তাফিজুর রহমান এবং হল সুপার ও রসায়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস সরকার ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।
অধ্যক্ষ বলেন, “বৈদ্যুতিক তার অনেক পুরোনো হয়ে গেছে। লাইনে ওভারলোডের কারণেও আগুন লেগেছে। আমরা দ্রুত সংস্কার কাজ শুরু করব।” প্রশাসনের এ আশ্বাসের পর শিক্ষার্থীরা রাতেই বিক্ষোভ স্থগিত করেন এবং নিজ নিজ কক্ষে ফিরে যান।
কারমাইকেল কলেজের মতো একটি ঐতিহাসিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এই অগ্নিকাণ্ড, নিরাপত্তা ব্যবস্থার ঘাটতিকে নতুন করে সামনে এনেছে।
Leave a comment