জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) তাদের ঘোষণাপত্রে ‘সেকেন্ড রিপাবলিক’ প্রতিষ্ঠার সংকল্প ব্যক্ত করেছে, যা দেশের রাষ্ট্র কাঠামো পুনর্গঠনের প্রস্তাব। এই উদ্যোগের লক্ষ্য হলো, জনগণের অধিকার ভিত্তিক একটি নতুন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা, যা বর্তমান রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক, এবং সাংস্কৃতিক সমস্যাগুলোর সমাধান করবে।
এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম জানিয়েছেন, ‘সেকেন্ড রিপাবলিক’-এ জাতীয় স্বার্থ সুরক্ষায় শক্তিশালী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলা, ভেঙে পড়া রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান পুনর্গঠন, এবং গণতান্ত্রিক চরিত্র বজায় রাখা হবে তাদের প্রধান লক্ষ্য। তিনি বলেন, “এভাবে আমরা একটি পরিপূর্ণ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে আবির্ভূত হতে পারব।”
এনসিপির এই ঘোষণা প্রেক্ষিতে, ‘সেকেন্ড রিপাবলিক’ বলতে আসলে কী বোঝায় এবং কীভাবে এটি কাজ করবে, তা নিয়ে ব্যাপক আগ্রহ তৈরি হয়েছে। নাহিদ ইসলাম বলেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থান এই ‘সেকেন্ড রিপাবলিক’ প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ের সূচনা হিসেবে কাজ করেছে।”
এনসিপির ঘোষণাপত্রে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, হাজারো শহিদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা কেবল একটি সরকার পতন করে অন্য একটি সরকার বসানোর জন্য নয়, বরং জনগণের অধিকারভিত্তিক একটি রাষ্ট্র পুনর্গঠন করার জন্যই এই অভ্যুত্থান ঘটেছে।
এছাড়া, এনসিপির একাধিক নেতা বলেছেন, ফ্রান্স ও স্পেনের ‘সেকেন্ড রিপাবলিক’-এর মতো, এই নতুন রাষ্ট্র কাঠামো প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে জনগণের অধিকার ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠিত হবে।
Leave a comment