আজ আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী দিবস। মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচার রোধে সারা বিশ্বে ধারাবাহিকভাবে দিবসটি পালিত হয়। ‘ বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) বাংলাদেশেও মাদক সেবন রোধ করি, সুস্থ সুন্দর জীবন গড়ি’ প্রতিপাদ্যে পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী দিবস।
মাদকের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য ১৯৮৭ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সভায় ২৬ জুনকে মাদকবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস হিসাবে পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরের বছর থেকে বিশ্বব্যাপী দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে মাদক সেবন, ব্যবসা ও পাচারের দিক থেকে বাংলাদেশ অন্যতম। তাই দিবসটির বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে দেশে।
দিবসটি উপলক্ষে বুধবার (২৫ জুন) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ৩২টি বেসরকারি মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রের প্রতিনিধিদের মধ্যে আর্থিক অনুদানের চেক বিতরণ করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সর্বশেষ পরিসংখ্যান বলছে, ২০২১ সালে সব সংস্থা মিলে ইয়াবা জব্দ করেছে ৩ কোটি ৬৩ লাখ ৮১ হাজার। ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়েছে প্রায় ১০ লাখ ৮ হাজার বোতল। কোকেন জব্দ করা হয় প্রায় ৪ কেজি, হেরোইন ২১০ কেজি। ২০২১ সালে মাদক-সংক্রান্ত ৪৭ শতাংশ মামলায় আসামির সাজা হয়েছে। এই হার ২০২০ সালে ছিল ৪৩ শতাংশ।
২০২২ সালে প্রকাশিত মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (ডিএনসি) একটি গবেষণায় বলা হয়, দেশে ৫৮ শতাংশ পথশিশু মাদকে আসক্ত। ১৪ শতাংশ শিশু ১০ বছর বয়সের আগেই মাদক সেবন করে। তুলনামূলক সহজলভ্য ও সস্তা হওয়ায় পথশিশুদের মধ্যে ৩১.৭ শতাংশ গাঁজা সেবন করে। ড্যান্ডিতে আসক্ত ১৫.২ শতাংশ শিশু।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও ইউনিসেফের তথ্য অনুযায়ী, রাজধানীতেই প্রায় ৭৫ হাজার পথশিশু ড্যান্ডিতে আসক্ত । এই শিশু–কিশোর ছাড়াও বাংলাদেশে প্রায় ৭ মিলিয়নের বেশি মানুষ কোনো না কোনোভাবে মাদকের সঙ্গে যুক্ত। ৮০ শতাংশ কিশোর ও তরুণ বয়সী মানুষ মাদকাসক্ত।
Leave a comment