ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় একটি সাততলা বাণিজ্যিক ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে ভবনের নিচতলা থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে এবং অল্প সময়েই আগুন দ্রুত ওপরের তলাগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে।
ঘটনাস্থলে উদ্ধারকারী দল কাজ করছে এবং মারা যাওয়া ব্যক্তির সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
জাকার্তা সেন্ট্রাল পুলিশের প্রধান সুসাতিও পুরনোমো কনড্রো সাংবাদিকদের জানান, ফায়ার সার্ভিসের দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। তবে ভবনের ভেতরে এখনও ধোঁয়া ও তাপ থাকায় উদ্ধার কার্যক্রম চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছে। তিনি বলেন, “বিকেল পর্যন্ত আমরা ২০ জনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছি। তবে ভবনের ভেতরে আরও লোক থাকতে পারে।”
অগ্নিকাণ্ডের সময় ভবনটিতে বিভিন্ন বিভাগে কর্মীরা কাজ করছিলেন। কেউ কেউ দুপুরের খাবার খাচ্ছিলেন, আবার অনেকে সেসময় অফিস থেকে বের হয়ে যান। ফলে আগুন লাগার পর ভেতরে কতজন ছিলেন তা এখনো নিশ্চিতভাবে জানা সম্ভব হয়নি।
সুসাতিও পুরনোমো কনড্রো আরও জানান, ভবনটির প্রথম তলায় আগুন লাগে এবং আশপাশে থাকা দাহ্য পদার্থের কারণে আগুন দ্রুত উপরের ফ্লোরগুলোতে ছড়িয়ে যায়। “আমরা আপাতত হতাহতদের উদ্ধারের দিকেই মনোযোগ দিচ্ছি। আগুন লাগার সঠিক কারণ তদন্ত করে দেখা হবে।
অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনটি টেরা ড্রোন ইন্দোনেশিয়ার অফিস হিসেবে পরিচিত। প্রতিষ্ঠানটি কৃষি, খনি, নির্মাণসহ বিভিন্ন সেক্টরের জন্য উচ্চ প্রযুক্তির ড্রোন সরবরাহ করে থাকে এবং ভবনের বিভিন্ন তলায় তাদের কার্যক্রম পরিচালিত হতো।
এ ঘটনায় নিহতদের পরিচয় শনাক্তের কাজ চলছে, পাশাপাশি আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ ভবনটির নিরাপত্তা ব্যবস্থা, অগ্নি–নিরাপত্তা সরঞ্জাম কার্যকর ছিল কি না—তা তদন্ত করছে।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, ইন্দোনেশিয়ায় সম্প্রতি বাণিজ্যিক ভবনগুলোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা বাড়ছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, নিয়মিত নিরাপত্তা পরিদর্শন ও অগ্নি–নিরাপত্তা ব্যবস্থা শক্তিশালী না হলে এ ধরনের দুর্ঘটনা আরও বাড়তে পারে।
Leave a comment