বাংলাদেশের কক্সবাজারে আশ্রয় নেওয়া বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা শরণার্থী ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর মানবিক সহায়তা জোরদারে ১১ দশমিক ২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের যৌথ তহবিল ঘোষণা করেছে যুক্তরাজ্য ও কাতার।
রোববার (৭ ডিসেম্বর) ঢাকার ব্রিটিশ হাইকমিশন থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, কক্সবাজারে আশ্রয় নেওয়া ছয় লাখ ৪৭ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা এবং তাদের সহায়তায় এগিয়ে আসা স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন ও পরিবেশ সুরক্ষায় এই তহবিল ব্যয় করা হবে। দুই দেশ যৌথ সহায়তার মাধ্যমে মানবিক উদ্যোগকে আরো শক্তিশালী করতে পেরে সন্তোষ প্রকাশ করেছে।
তহবিলের একটি বড় অংশ শরণার্থী ক্যাম্প ও আশপাশের এলাকায় এলপিজি সরবরাহ নিশ্চিত করতে ব্যবহার করা হবে। এতে রান্নার জ্বালানি হিসেবে কাঠের ওপর নির্ভরতা কমবে, যা গত কয়েক বছরে বন উজাড়ের অন্যতম প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, “নিরাপদ, স্বাস্থ্যকর ও পরিবেশবান্ধব সম্প্রদায় গড়ে তুলতে আমরা একসঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
২০১৭ সালে মিয়ানমারে সামরিক নিপীড়নের মুখে প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে লাখ লাখ রোহিঙ্গা। এরপর থেকেই কক্সবাজার বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠীর আবাসস্থলে পরিণত হয়েছে, যেখানে মানবিক সহায়তার চাহিদা ক্রমবর্ধমান।
সম্প্রতি ঘোষিত এই তহবিল রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জন্য সহায়তার পরিধি আরও সম্প্রসারিত করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
Leave a comment