যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে হোয়াইট হাউসের নিকটবর্তী এলাকায় ন্যাশনাল গার্ডের দুই সদস্যকে গুলি করার ঘটনা ঘটেছে। বুধবার বিকেলে ঘটে যাওয়া এই ঘটনার সময় প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ফ্লোরিডায় অবস্থান করছিলেন। ওয়াশিংটন ডিসি মেট্রোপলিটন পুলিশ জানায়, এক সন্দেহভাজন ব্যক্তি হঠাৎ করে টহলরত দুই ন্যাশনাল গার্ড সদস্যকে লক্ষ্য করে গুলি চালান। গুলির শব্দ শোনার পর কাছাকাছি থাকা অন্যান্য সদস্যরা দ্রুত তাকে আটকে ফেলেন। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় সন্দেহভাজনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এক লাইভ ভাষণে জানান যে, অভিযুক্ত ব্যক্তি একজন আফগান নাগরিক, যিনি ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেন। তিনি বলেন, “ বাইডেন প্রশাসনের সময় যারা আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রে এসেছে আবার তাদের সকলের নিরাপত্তা যাচাই করতে হবে।”
এফবিআই পরিচালক ক্যাশ প্যাটেল জানিয়েছেন, আহত দুই ন্যাশনাল গার্ড সদস্যের অবস্থা এখনও সংকটাপন্ন। এ ঘটনা ‘আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তাদের ওপর হামলা’ হিসেবে তদন্ত করা হবে বলে তিনি নিশ্চিত করেছেন।
ওয়াশিংটন ডিসি পুলিশ আরও জানায়, হামলাকারী ঘটনাস্থলেই পুলিশের গুলিতে আহত হন। পরে তাকে হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। তার অবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হয়নি। ওয়েস্ট ভার্জিনিয়ার গভর্নর প্যাট্রিক মরিসি প্রথমদিকে দাবি করেছিলেন যে দুটি ন্যাশনাল গার্ড সদস্য মারা গেছেন। কিন্তু পরে সরকারি সূত্র জানায়, তারা বেঁচে আছেন, যদিও অবস্থার উন্নতি হয়নি।
হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, সন্দেহভাজনের নাম রহমানুল্লাহ লাখামাল, যিনি আফগানিস্তানের নাগরিক। তাকে “অপরাধমূলক প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশকারী” হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব ও অভিবাসন সেবা (USCIS) জানিয়েছে, এ ঘটনার পর সকল আফগান অভিবাসন আবেদন সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে এবং নতুন করে ভেরিফিকেশন প্রোটোকল পর্যালোচনা করা হবে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মন্তব্যকে কেন্দ্র করে অভিবাসন নীতি নিয়ে নতুন করে আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, হোয়াইট হাউসের কাছে এমন হামলা যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা কাঠামোর উপর বড় প্রশ্ন তৈরি করেছে। এফবিআই ও স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাগুলো যৌথভাবে ঘটনার কারণ, উদ্দেশ্য ও হামলাকারীর পটভূমি বিশ্লেষণ করে দেখছে।
Leave a comment