রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধান এবং বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের নিরাপদে মিয়ানমারে প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে বৈশ্বিক দায়িত্ব আরও জোরদার করার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ।
বুধবার (১৯ নভেম্বর) সাধারণ পরিষদের তৃতীয় কমিটিতে সর্বসম্মতিক্রমে রোহিঙ্গা মুসলিমদের সুরক্ষা ও মিয়ানমারের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে একটি প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। প্রস্তাবটি যৌথভাবে উত্থাপন করে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি) ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। এর সমর্থনে পৃষ্ঠপোষক দেশ ছিল ১০৫টি। পরদিন বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন এ তথ্য নিশ্চিত করে।
প্রস্তাবে রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের ওপর অব্যাহত মানবাধিকার লঙ্ঘন, সহিংসতা, মানবিক সহায়তায় প্রতিবন্ধকতা এবং বাংলাদেশসহ প্রতিবেশী দেশে রোহিঙ্গাদের ধারাবাহিক অনুপ্রবেশ নিয়ে গভীর উদ্বেগ জানানো হয়। একইসঙ্গে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ ও টেকসই প্রত্যাবর্তনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ধারাবাহিক সম্পৃক্ততার ওপর জোর দেওয়া হয়।
প্রস্তাব গৃহীত হওয়ার পর বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বলা হয়, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহায়তা ও সমর্থনের জন্য দেশটি কৃতজ্ঞ হলেও দীর্ঘ আট বছরেও মিয়ানমারের ভেতরে প্রত্যাবাসনের অনুকূল পরিবেশ তৈরির কোনো বাস্তব অগ্রগতি হয়নি—যা অত্যন্ত হতাশাজনক।
বাংলাদেশ আরও জানায়, বর্তমানে প্রায় ১৩ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়া হচ্ছে। এত বিপুল জনসংখ্যার ভার আর এককভাবে বহন করা সম্ভব নয়। তাই রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে জরুরি ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক পদক্ষেপ ও কার্যকর ভূমিকার জন্য জাতিসংঘ সদস্য রাষ্ট্রগুলোর প্রতি জোর আহ্বান জানায় বাংলাদেশ।
Leave a comment