গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার নলডাঙ্গা ইউনিয়নের দশলিয়া গ্রাম থেকে গৌরবী রানী (১৫) নামে এক স্কুলছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (১৮ অক্টোবর) বিকালে শোবার ঘর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
মৃত গৌরবী রানী ওই গ্রামের মাছ ব্যবসায়ী গৌরাঙ্গ চন্দ্র রায়ের মেয়ে এবং নলডাঙ্গা জ্ঞানেন্দ্র চন্দ্র বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন। এ মর্মান্তিক ঘটনার সময় বাড়িতে শুধু তার দাদি উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার দুপুরে গৌরবীর দাদি তাকে দুপুরের খাবারের জন্য ডাকতে যান। কোনো সাড়া না পেয়ে শোবার ঘরে প্রবেশ করলে তিনি দেখেন, সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচানো অবস্থায় নাতনির ঝুলন্ত দেহ। ভয়ার্ত চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন এবং দ্রুত মরদেহটি নিচে নামান। পরে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়।
খবর পেয়ে সাদুল্লাপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
সাদুল্লাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজউদ্দিন খন্দকার বলেন, “গৌরবী রানীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা বলে মনে হলেও, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার আগে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ সম্পর্কে নিশ্চিতভাবে কিছু বলা সম্ভব নয়।”
তিনি আরও জানান, পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো অভিযোগ করা হয়নি। তবে মৃত্যুর ঘটনাটি রহস্যজনক হতে পারে বলে স্থানীয়দের মধ্যে আলোচনা চলছে।
জানা গেছে, ঘটনার সময় গৌরবীর বাবা গৌরাঙ্গ চন্দ্র রায় ব্যবসায়িক কাজে ঢাকায় ছিলেন। অন্যদিকে তার মা এক আত্মীয়ের বাড়িতে শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন। বাড়িতে ছিলেন শুধু দাদি। দশলিয়া গ্রামের এক প্রতিবেশী অরুণ কান্তি দাস বলেন, “গৌরবী খুব ভালো মেয়ে ছিল। এমন কিছু করার কথা কেউ ভাবতেই পারছে না। হয়তো এর পেছনে অন্য কোনো ঘটনা আছে।”
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে কোনো সুইসাইড নোট বা সন্দেহজনক বস্তু পাওয়া যায়নি। ঘরটি পরীক্ষা করে কোনো জোরপূর্বক প্রবেশের চিহ্নও পাওয়া যায়নি। তবে ঘটনাস্থলের আলামত সংগ্রহ করে ফরেনসিক বিশ্লেষণের জন্য পাঠানো হয়েছে। নলডাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বলেন, “ঘটনাটি অত্যন্ত মর্মান্তিক। আমরা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি।
Leave a comment